1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামাস নেতার হত্যা নিয়ে কূটনৈতিক উত্তেজনা

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০

হামাস নেতা মাহমুদ আল-মাভুহকে হত্যা নিয়ে যে কূটনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ড লন্ডন ও ডাবলিনে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/M5AB
হামাস নেতা মাহমুদ আল-মাভুহর ছবিছবি: AP

হামাস নেতার হত্যাকারীদের জাল পাসপোর্ট ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার লন্ডনে পররাষ্ট্র দফতরে সেই আলোচনা হয়েছে৷ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত রন প্রোসোর এর সঙ্গে ব্রিটেনের কূটনৈতিক সার্ভিসের প্রধান পিটার রিকেটস এর আলোচনার পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড আশা করেন সন্দেহভাজন হত্যাকারীদের জাল ইউরোপীয় পাসপোর্ট ব্যবহারের বিষয়টি তদন্তে ইসরায়েলের পূর্ণ সহযোগিতা৷

মিলব্যান্ড বলেন, রাষ্ট্রদূতকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে, এ ব্যাপারে ইসরায়েলকে সব ধরণের সুযোগ দেয়ার৷ তিনি বলেন, আমরা জাল পাসপোর্টের সম্ভাব্য ব্যবহারের ঘটনার গভীরে যেতে আগ্রহী৷ উল্লেখ্য যে, ব্রিটেন দুবাই কর্তৃপক্ষের সাথে ঘটনার তদন্তে নেমেছে৷ কেননা গত মাসে দুবাই এর একটি বিলাসবহুল হোটেলে হামাস নেতা মাহমুদ মাভুকে হত্যা করা হয়৷ তারপর থেকে কূটনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে৷

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পুলিশ প্রধান তামিম বলেছেন, তারা একশ শতাংশ না হলেও ৯৯ শতাংশ নিশ্চিৎ যে, ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ উগ্রপন্থী হামাস নেতার হত্যার পেছনে ছিল৷ দুবাই পুলিশ সন্দেহভাজন এগারো ব্যক্তির নাম ও ফটো প্রকাশ করেছে-যারা দেশটিতে প্রবেশ করেছিল জাল ইউরোপীয় পাসপোর্ট নিয়ে৷ এরা আসে ব্রিটেন সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে৷

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বুধবার বলেছেন, হত্যার সঙ্গে ছয় জন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারীর জড়িত থাকার ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করা হবে৷

অস্ট্রিয়া এখন তদন্ত করছে, হত্যার পরিকল্পনায় কোন অস্ট্রীয় টেলিফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে কিনা৷ অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ কথা জোর দিয়ে বলে৷ হামাস নেতার হত্যা ঘটনায় সন্দেহভাজন হত্যাকারীদের ফরাসী পাসপোর্ট ব্যবহার সম্পর্কে ফরাসী সরকার প্যারিসে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে৷ ফরাসী পররাষ্ট্র দফতর বৃহস্পতিবার এ কথা জানায়৷

প্রতিবেদন : আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ