হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে যাচ্ছে ইসরায়েল
৮ জানুয়ারি ২০১০বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মুখপাত্র মার্টিন নাসিরকি বলেন, ''উভয়পক্ষ নীতিগতভাবে এমন একটি চুক্তির কাছাকাছি যার আওতায় জাতিসংঘকে ক্ষতিপূরণ দেবে ইসরায়েল৷'' নাসিরকি বলেন, এখন ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছে জাতিসংঘ, যা শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ নাসিরকি জানান, গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এহুদ বারাকের মধ্যে টেলিফোন আলাপের প্রেক্ষিতে এই অগ্রগতি হয়েছে৷ তবে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি নাসিরকি৷
অবশ্য ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি'র ওয়েবসাইটে এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এক কোটি ডলার বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এছাড়া জাতিসংঘের অপর এক মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন যে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এক কোটি পাঁচ লাখ ডলার৷ তবে এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোন কিছু হয়নি৷ জাতিসংঘের হিসাব মতে, ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে তিন সপ্তাহ চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের সময় ফিলিস্তিনিদের জন্য নির্মিত বিদ্যালয় এবং স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রসহ জাতিসংঘের অসংখ্য স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে৷ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ ও পূর্ত সংস্থার ভবন৷ এই সংঘাতে এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং ১৩ জন ইসরায়েলি নিহত হয়৷ এসব ক্ষয়ক্ষতির তদন্ত শেষে জাতিসংঘের দাবি, ঐ সংঘাতের সময় সংস্থাটির প্রায় এক কোটি দশ লাখ ডলার অর্থের সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে৷
এদিকে, বৃহস্পতিবার নতুন করে গাজায় একাধিক ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে৷ এতে একজন নিহত এবং দুই জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে বলে স্থানীয় চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন৷ তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে গাজা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রায় ডজন খানেক গোলা এবং একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতেই তারা চার বার হামলা চালিয়েছে৷ ইসরায়েলের দাবি, তারা গাজা সিটির একটি অস্ত্র গুদাম লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে৷ এছাড়া ইসরায়েলি হেলিকপ্টার থেকে বেশ কিছু লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে গাজা শহরে৷ এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিরা যেন ইসরায়েলি সীমান্তের ৩০০ মিটারের কাছাকাছি এলাকায় চলাচল না করে৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার