1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামবুর্গের হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা গেছে

১০ মার্চ ২০২৩

জার্মানির হামবুর্গে একটি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সভায় হামলা চালিয়ে সাতজনকে হত্যা করেছেন এক বন্দুকধারী৷ নিহতদের মধ্যে এক নারীর গর্ভের এক শিশুও রয়েছে৷ ঘটনার পর হামলাকারী নিজেও আত্মহত্যা করেন৷

https://p.dw.com/p/4OWy6
জার্মানির হামবুর্গে একটি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সভায় হামলা চালিয়ে সাতজনকে হত্যা করেছেন এক বন্দুকধারী৷ নিহতদের মধ্যে এক নারীর গর্ভের এক শিশুও রয়েছে৷ ঘটনার পর হামলাকারী নিজেও আত্মহত্যা করেন৷
পুলিশ জানিয়েছে বন্দুকধারী হামলায় মোট ১৩০টি বুলেট ছুঁড়েছেছবি: FABIAN BIMMER/REUTERS

বৃহস্পতিবার রাতে হামবুর্গে জেহোভাহ'স উইটনেস খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সভায় এই হামলার ঘটনা ঘটে৷ পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী নিজেও এই সম্প্রদায়ের সাবেক সদস্য৷ জার্মানির জেহোভাহ'স উইটনেস এক বিবৃতিতে বলেছে, হামবুর্গের কিংডম হলে তাদের ধর্মীয় সভার পর ঘটা ভয়ানক হামলায় তারা গভীরভাবে শোকাহত৷

হামলায় নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও দুইজন নারী৷ নিহতদের বয়স ৩৩ থেকে ৬০-এর মধ্যে৷ তারা সবাই জার্মান নাগরিক৷ এর বাইরে এক নারীর গর্ভস্থ শিশুও রয়েছে৷ আহত হয়েছেন আটজন৷ তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর৷

হামলাকারীর পরিচয়

হামলাকারী বন্দুকধারীকে ‘ফিলিপ এফ' নামে চিহ্নিত করেছে পুলিশ৷ তিনি ৩৫ বছরের জার্মান নাগরিক৷ বাভারিয়ার মেমিনগেনের এই ব্যক্তি মিউনিখে পড়াশোনা করেছেন৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে তিনি হামবুর্গে নিবন্ধিত ছিলেন৷

ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর পর হামলাকারী নিজেকেও হত্যা করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্ডি গ্রোটে৷ হামবুর্গ পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীর একটি অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং বৈধভাবেই সেমি-অটোমেটিক পিস্তলটি রাখতেন তিনি৷

ফিলিপ এফ এই হামলা কেন চালিয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ৷ তবে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে অজ্ঞাত সূত্রে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা৷

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এই হামলাকে ‘নিষ্ঠুর সহিংসতা' হিসেবে অভিহিত করেছেন৷ নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার৷

এফএস/এসিবি (এপি, এফপি, রয়টার্স)

২০১৯ সালের ছবিঘর দেখুন...