1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হানোফারে চলছে সেবিট মেলা

আরাফাতুল ইসলাম৬ মার্চ ২০০৮

সেবিট মেলা কেমন লাগছে? জানতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মোরছালিন জুয়েল এর কাছে৷ তিনি বললেন, খুব ভালো লাগছে৷ জুয়েলের এই এক কথার জবারের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ থেকে আসা অপর ব্যবসায়ী এম মঞ্জুরুর রহমান৷ জানালেন, সিবিটে আমি পর পর তিনবার এসেছি৷ গতবারের তুলনায় এবার তেমন কোন পরিবর্তন দেখত

https://p.dw.com/p/DPfV
তারুণ্যের ক্রেজ মোবাইল ফোন
তারুণ্যের ক্রেজ মোবাইল ফোনছবি: AP

ে পাচ্ছি না৷ মনে হচ্ছে সেবিট একটি নির্দিষ্ট ছকের মধ্যে আটকে গেছে৷

মেলায় ঢুকে প্রথমেই একটু থমকে যেতে পারেন আপনি৷ যেদিকে যাবেন সেদিকেই চীনা নাগরিক৷ প্যাভেলিয়ানগুলোতে চীনাদের স্টল৷ হবেই না বা কেন? এবারের সেবিটে শুধু চীন থেকে অংশ নিয়েছে ৫০০টি প্রতিষ্ঠান, এককভাবে কোন দেশের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ এটি৷ আর তাই সেবিট প্রাঙ্গন এখন ছোটখাট এক চৗনা শহরে রুপ নিয়েছে৷

মেলায় ঘুরতে ঘুরতেই দেখা গেল নরওয়ের প্রতিষ্ঠান টেলেনরকে৷ বাংলাদেশে টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীন ফোনের ৬২ শতাংশ শেয়ারের মালিক এই প্রতিষ্ঠানটি৷ নতুন এক টেকনোলজি নিয়ে মেলায় হাজির তারা৷ মেশিন টু মেশিন কমিউনিকেশন, মানে যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগাযোগ করবে আরেক যন্ত্রের সঙ্গে৷ আরেকটু সহজ করে দেই৷ ধরুন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোন এক জায়গায় দুর্ঘটনায় পড়লো একটি গাড়ী৷ টেলেনরের এই প্রযুক্তি যুক্ত থাকলে গাড়িটি নিজে থেকেই যোগাযোগ করবে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং হাসপাতালের সঙ্গে৷ ফলে উদ্ধার কাজ করা যাবে বেশ দ্রুত৷ বিষয়টি নিয়ে টেলিনরের এক মুখপাত্র ডয়চে ভেলেকে জানালেন, আজকে সবার কাছে মোবাইল ফোন আছে৷ কিন্তু ভবিষ্যতে মেশিনকেও যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করতে হবে৷ আগামী ৫ বছরের মধ্যে মেশিন টু মেশিন যোগাযোগও সহজলভ্য হয়ে যাবে৷

বিশ্বজুড়ে এখন তারুণ্যের ক্রেজ মোবাইল ফোন সেট৷ আর সেটাই জানান দিলো সেবিটের মোবাইল প্যাভেলিয়ন৷ ব্ল্যাকবেরি, সনি এরিকসন, টি মোবাইল এর মতো বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানগুলো জড়ো হয়েছে মোবাইল প্যাভেলিয়নে৷ সনি এরিকসন গুরুত্ব দিচ্ছে তাদের নতুন মিউজিক সিরিজের মোবাইল ফোনসেটগুলোর ওপর৷ আর তাই তাদের স্টলে শুধু মিউজিক আর মিউজিক৷ টি মোবাইল অবশ্য মার্কেটিং করেছে আইফোন এর৷ আর ব্ল্যাকবেরি ব্যস্ত নতুন সফটওয়্যার নিয়ে৷

পুরো হানোফার জুড়ে এখন সেবিটের আমেজ৷ হোটেল-মোটেল কিংবা গেস্ট হাউস- সবই কানায় কানায় পুর্ন৷ আর তাই থাকার জায়গা না পাওয়ায় বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে আসা দর্শনাথীদের একটি বড় অংশ এখন রাত কাটাচ্ছে হানোফারের স্থায়ী বাসিন্দাদের সঙ্গে, একই বাড়ীতে৷ তবে অবশ্যই টাকার বিনিময়ে৷ হানোফারের বাসিন্দাদের বাড়তি উপার্জনের একটি ভালো রাস্তা এটি৷

উল্লেখ্য, বিশ্বের সর্ববৃহত্ এই তথ্য প্রযুক্তি উত্সব চলবে আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত৷