সমকামীদের প্রতি সংহতি
৯ এপ্রিল ২০১৭পূর্ব নেদারল্যান্ডসের আর্নহেম শহরে ঐ সমকামী যুগল একটি সেতুর ওপর দিয়ে হাত ধরাধরি করে যাওয়ার সময় একদল তরুণ তাদের গালিগালাজ করে৷ বচসা থেকে যে হাতাহাতি শুরু হয়, তাতে সমকামীদের দু'জনেই আহত হন ও তাদের একজনের সামনের কয়েকটি দাঁত ভেঙে যায়৷
এই ঘটনা জানাজানি হয়ে যাবার পর সুপরিচিত প্রকাশক ও সাংবাদিক বারবারা বারেন্ড টুইটারে আবেদন জানান, ‘‘সব হেটেরো এবং হোমো পুরুষেরা কি এ সপ্তাহে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে পারেন...?''
এই টুইট থেকে একটি ভাইরাল হ্যাশট্যাগ সৃষ্টি হয় #আলেমানেনহান্ডইনহান্ড (অল-মেন-হ্যান্ড-ইন-হ্যান্ড), যার পর ডাচ উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী থেকে শুরু করে খেলাধুলার জগতের বিভিন্ন তারকা ও টেলিভিশনের ব্যক্তিত্বরা তাঁদের হাত ধরাধরি করে তোলা ছবি পোস্ট করতে শুরু করেন৷
বুধবার সন্ধ্যায় শত শত মানুষ হাতে হাত ধরে আমস্টারডামের পথে পথে ঘুরে রবিবারের ঘটনায় আক্রান্ত সমকামীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক অবধি পুরুষেরা হাতে হাত ধরে তোলা ছবি পোস্ট করে তাঁদের সংহতি জানাচ্ছেন৷
৩৫ বছর বয়সি ইয়াস্পার ভের্নেস-সেভ্রাতান ও ৩১ বছর বয়সি রনি সেভ্রাতান-ভের্নেসকে যে পাঁচজন কিশোর আক্রমণ করে, তাদের মধ্যে দু'জনের বয়স ১৪ এবং বাকি তিনজনের বয়স ১৬ বলে জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা এএফপি৷ আক্রমণের পর তারা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে৷ তাদের আদালতে পেশ করা হচ্ছে৷
নেদারল্যান্ডস হলো বিশ্বের প্রথম দেশ, যেখানে সমকামীদের বিবাহ বৈধ করা হয়৷ ২০০১ সালে সে দেশে সমকামীদের বিয়ে বৈধ করা হয়৷ কাজেই রবিবারের ঘটনায় নেদারল্যান্ডস বিশেষভাবে নাড়া খেয়েছে৷ এমনকি নিইমেগেন ফার্স্ট ডিভিশন ফুটবল ক্লাব তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে স্টেডিয়ামের সামনে টিমের ফুটবলারদের হাত ধরাধরি করে, ক্যামেরার দিকে পিছন ফিরে তোলা একটি ছবি পোস্ট করেছে৷ ছবির ক্যাপশন হলো, ‘‘এন.ই.সি. সমকামী-বিরোধী সহিংসতা বর্জন করে''৷
এসি/এসিবি (এপি, এএফপি)
প্রতিবেদন সম্পর্কে আপনার বক্তব্য জানান নীচের ঘরে৷