1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্যাক্সনি রাজ্যের বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ড্রেসডেন

২৩ আগস্ট ২০১০

সাবেক পূর্ব জার্মানির শহর ড্রেসডেনে অবস্থিত টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ড্রেসডেন৷ স্যাক্সনি রাজ্যের বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় এটাই৷

https://p.dw.com/p/Otpb
ড্রেসডেনে অবস্থিত টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ড্রেসডেনছবি: AP

ড্রেসডেনে এই ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮২৮ সালে৷ ১৮২৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচিত ছিল ‘রয়্যাল স্যাক্সনি টেকনিক্যাল' স্কুল নামে৷ আজ বিশ্ববিদ্যালয়টি ইঞ্জিনিয়ারিং, সাধারণ বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্য বিখ্যাত৷ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ড্রেসডেনের মূল লক্ষ্য হল দেশের জন্য, সমাজের জন্য, মানুষের জন্য কিছু করা৷ উন্নতমানের জীবন যাপনের সঙ্গে মানুষকে একাত্ম করা৷

বর্তমানে টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ড্রেসডেনে পড়াশোনা করছে প্রায় ৩৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী৷ অধ্যাপনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রায় ৪২০ জন প্রফেসর এবং তাদের সর্বক্ষণ প্রয়োজনে সাহায্য এবং সহযোগিতা করে যাচ্ছে আরো প্রায় চার হাজার দু'শো জন অ্যাকাডেমিক স্টাফ৷

জার্মানিতে আসার প্রস্তুতি

ভারতের সিএসআইআর'এর বিজ্ঞানী অনিল কুমার চৌবে৷ তিনি বেশ কিছুদিন সেখানে কাজ করেন এরপর তিনি বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি পিএইচডি'র কাজ শুরু করেন৷ কিন্তু তিনি নিজেকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চান৷ সেই লক্ষ্যে তিনি ভারতে বসে বিশেষ একটি বিষয় নিয়ে গবেষণা করার জন্য বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজতে থাকেন৷ পেয়েও যান৷ সে প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘‘আমি প্রথম বেনারসে পিএইচডি-র কাজ শুরু করি৷ আমার বিষয় ছিল ‘ম্যাগনেসিয়াম কম্পোজিট'৷ এই বিষয়টি নিয়ে আমি নানা ধরণের বই এবং তথ্য যোগাড় করা শুরু করি৷ কিন্তু কোথাও-ই কিছু পাচ্ছিলাম না৷ যেগুলো পাচ্ছিলাম, সেগুলোই সবই চীন এবং জার্মানিতে৷ এই বিষয় নিয়ে এই দুটি দেশেই কাজ হয়েছে সবচেয়ে বেশি৷ তাই এই দুটি দেশে বইয়ের এবং গবেষণার তথ্য উপাত্তও অনেক বেশি৷ এর মধ্যে থেকেই আমি আমার প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র বেছে নিই৷ তখনই আমি যোগাযোগ করি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসরের সঙ্গে, তিনি আমাকে বেশ কিছু কাগজপত্র পাঠান নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর৷ সে কাগজপত্রগুলো দেখার পর আমি বুঝতে পারি, যে জার্মানিতে এই বিষয় নিয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে অনেক৷ তখন থেকেই আমি খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করি জার্মানিতে পিএইচডি করার জন্য৷''

অনিল কুমার যোগাযোগ করেন ডিএএডি-র সঙ্গে৷ সেখানে থেকেই তিনি বৃত্তি পেয়েছেন জার্মানিতে গবেষণা করার৷ তবে অনিলকে গবেষণার মূল বিষয় নিয়ে রিসার্চ প্রোপোজাল তৈরি করতে হয়েছিল৷ অর্থাৎ জার্মানিতে তিনি কীভাবে কাজ করবেন, গবেষণা কীভাবে চালাবেন, তা বিস্তারিত জানাতে হয়েছিল৷ অনিলের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ড্রেসডেন৷

এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে কোন ড্রিগ্রি অর্জন করা হোক না কেন, তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত৷ জার্মানিতে খুব অল্পসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলোর বিজ্ঞান অনুষদগুলো ড্রেসডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদগুলোর সমতুল্য হতে পারবে৷ এই অনুষদগুলোতে শিক্ষা, গবেষণা এবং অধ্যাপনার মান অত্যন্ত উঁচুমানের৷

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ড্রেসডেনে রয়েছে ১৪টি অনুষদ৷ এই অনুষদগুলোর অধীনে প্রায় দুশোটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি৷

জার্মানরা সংস্কৃতিমনা সেই জন্যই ভাষাটি শেখা চাই

জার্মানিতে পড়াশোনা বা গবেষণার জন্য জার্মান ভাষার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু ? অনিল কুমার সে প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘যে কোন ছাত্র-ছাত্রী, যে জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য আসতে চায় তাদের জার্মান শেখা খুব জরুরি৷ কারণ ভাষাটি জানা থাকলে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় খুব সহজে৷ যে কোন প্রশ্ন তাৎক্ষণিকভাবে করা যায়৷ চটপট উত্তরও পাওয়া যায়৷ এবং যে কোন বিষয় কেউ যদি বোঝাতে চায়, তাহলে সে তার মাতৃভাষায় সবচেয়ে ভাল বোঝাতে পারবে৷ আর জার্মানিতে বসবাস করার জন্য, এখানে গবেষণা করার জন্য জার্মান ভাষার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি৷ এছাড়া আমি শুনেছি, জার্মানরা সংস্কৃতিমনা৷ ওদের সংস্কৃতি সম্পর্কেও যদি আমি আরো জানতে চাই, গভীরে যেতে চাই তাহলে ভাষাটা জানা থাকা জরুরি৷ আমি এখানে গবেষণা করবো – টুকটাক প্রশ্ন আমি সারাক্ষণই করবো৷ আমাকেও সহকর্মীরা প্রশ্ন করবে৷ সেই ছোটখাট কথাবার্তাগুলো জার্মান ভাষাতে হলে দু'পক্ষের জন্যই সুবিধা৷ অন্ততপক্ষে ভাষাটাকে বোঝার মত ক্ষমতা থাকা চাই৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়