পরিবেশ বনাম ট্রাম্প
২৮ মার্চ ২০১৭বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মানতে নারাজ ট্রাম্প৷ অতএব সেই উষ্ণায়নের কুপ্রভাব রুখতে অ্যামেরিকাসহ গোটা বিশ্ব অনেক দরকষাকষির পর যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলি তুড়ি মেরে বাতিল করতে তাঁর হাত কাঁপে না৷ জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি শিল্পের প্রতি তাঁর অনেক বেশি দরদ৷ তাই তাদের উপর চাপানো বিধিনিষেধ দূর করতে চান তিনি৷
সম্প্রতি সংসদে আইন পাশ করে স্থাস্থ্য বিমা কাঠামোর পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প৷ তাই সেই ঝামেলায় না গিয়ে আবার নির্বাহী আদেশের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি৷ ‘এনার্জি ইন্ডিপেন্ডেন্স এক্সিকিউটিভ অর্ডার' বা জ্বালানির ক্ষেত্রে স্বাধীনতা আনতে এমন এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি৷ অর্থাৎ ওবামা কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যে দূষণমুক্ত জ্বালানির ব্যবহার তরান্বিত করতে যে সব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তা বাতিল করে দেশকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প৷ তাঁর যুক্তি, এর ফলে জ্বালানির দাম কমবে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়বে৷
পরিবেশ দূষণ মোকাবিলার বদলে ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে সেই দূষণ তরান্বিত করার কাজ করে চলেছেন৷ খোদ ফেডারেল সরকারের পরিবেশ সুরক্ষা দপ্তরের বাজেট তিনি এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে দিয়েছেন৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ধারণার ঘোর বিরোধী এক ব্যক্তিকে সেই দপ্তরের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেছেন এবং এক্সনের মতো বিশাল জ্বালানি কোম্পানির প্রধান ৷
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দূষণকারী দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সাম্প্রতিক পদক্ষেপ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতি করবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ আন্তর্জাতিক স্তরে তিলে তিলে যে ঐকমত্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে, তাও ভঙ্গুর হয়ে পড়তে পারে বলে অনেক মহল আশঙ্কা করছে৷ অনেকের মতে, এর ফলে বাকিদের আরও পদক্ষেপ নিতে বরং সুবিধাও হতে পারে৷
এসবি/এসিবি (এএফপি, এপি)