স্বর্ণের রেকর্ড দাম, চলছে নতুন খনির অনুসন্ধান
১ আগস্ট ২০২০একদিকে মার্কিন-চীন সম্পর্কের অবনতি, অন্যদিকে করোনা মহামারির ফলে বিশ্বের নানা প্রান্তে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে অনেকেই ঝুঁকছেন স্বর্ণের দিকে৷
এর ফলে বেড়েছে চাহিদাও৷ এ বছর স্বর্ণের দাম ২০ শতাংশ বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ হয়েছে৷ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রণোদনার ফলে এখন নতুন নতুন খনির দিকে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা৷
এ সপ্তাহেই ২০১১ সালের রেকর্ড ভাঙে স্বর্ণের দাম৷ প্রতি আউন্সে দাম পৌঁছায় এক হাজার ৯৪৪ ডলারে৷ ২০১১ সালে সর্বোচ্চ দাম ছিল আউন্সপ্রতি এক হাজার ৯২১ ডলার৷
স্বর্ণের দাম বাড়ার আরো নানা কারণ রয়েছে৷ মহামারি ও নানা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক টানাপড়েনের ফলে ব্যাংকগুলোর সুদের হার ও বন্ডের সুবিধা কমে গেছে৷ ফলে ক্ষুদ্র ব্যক্তিপর্যায়েও অনেকে স্বর্ণকেই বেছে নিচ্ছেন ভবিষ্যতের সঞ্চয় হিসেবে৷
বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান বুলিয়ন ভল্টের গবেষণা বিষয়ক পরিচালক আদ্রিয়ান অ্যাশ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা এবং শান্তিকালীন সময়েও অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক ঘাটতির ফলে অনেকে নগদ অর্থ বা ক্রেডিটের বিকল্প হিসেবে স্বর্ণকে পছন্দ করছেন৷’’
নতুন খনির সন্ধানে
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের হিসেব দেখাচ্ছে গত তিন দশক ধরেই নতুন স্বর্ণের খনি আবিষ্কার কমছে৷ কিন্তু স্বর্ণের দাম বাড়ায় খনি মালিকেরা উৎপাদন বৃদ্ধির দিকেও মনোযোগ দিয়েছেন৷ গত কয়েক বছরের কাটছাঁটের পর এখন নতুন খনির সন্ধানেও ঝুঁকছেন তারা৷ নতুন খনির অনুসন্ধানে ২০১২ সালে ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ হলেও এরপর কমতে কমতে তা প্রায় অর্ধেকে এসে দাঁডিয়েছিল৷
গত কয়েক দশকে নতুন আবিষ্কার হওয়া খনিগুলোর বেশিরভাগকেই বিশেষজ্ঞরা ‘বিশ্বমানের' বলতে রাজি নন৷ কোনো খনিতে ৫০ লাখ আউন্স স্বর্ণ মজুদ থাকলে সেটিকে ব্যবসাসফল খনিতে পরিণত করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো থেকে অন্তত আড়াই লাখ আউন্স স্বর্ণ উৎপাদন করা যায়৷
বর্তমানে স্বর্ণখনির অনুসন্ধান কাজে অস্ট্রেলিয়া, ক্যানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে৷ কিন্তু এখন ধীরে ধীরে ল্যাটিন অ্যামেরিকা ও আফ্রিকায় নতুন খনি খোঁজার দিকেও ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা৷
এডিকে/কেএম