সৌদি আরবে হবে ইস্পোর্টস বিশ্বকাপ
রোনালডো আর জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে পাশে বসিয়ে দারুণ এক ঘোষণা দিয়েছেন মোহাম্মদ বিন সালমান- বিশ্বকাপ হবে সৌদি আরবে! একেবারে অন্যরকম এক বিশ্বকাপ হবে পেট্রোডলারে সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
ইস্পোর্টস কী?
অনেকে বলেন বর্তমান যুগ নাকি মোবাইল ফোন আর ভিডিও গেমের৷ যেখানে যাবেন প্রায় সবার হাতে দেখবেন মুঠোফোন৷ আর ঘরে ঘরে শিশু থেকে তরুণ তো বটেই, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে খুব বয়স্কদেরও দেখা যাবে ভিডিও গেম খেলায় ব্যস্ত থাকতে৷ মূলত তাদের কথা ভেবেই সৌদি আরব আয়োজন করতে চলেছে ইস্পোর্টসের বিশ্বকাপ৷ ইস্পোর্টস মানে তো নানা ধরনের ভিডিও গেমসের উঁচু মানের প্রতিযোগিতা!
সৌদি আরবে কেন এমন বিশ্বকাপ?
কারণ জানলে অনেকেই সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ভাবনার প্রশংসা করবেন৷ সালমান আসলে সৌদি আরবের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে যে ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেছিলেন, তার অংশ হিসেবেই আয়োজন করতে চান ইস্পোর্টস বিশ্বকাপ৷ তিনি মনে করেন, এ আয়োজনের মাধ্যমে দেশের পেট্রোডলারনির্ভর অর্থনীতিকে কিছুটা ভিডিও গেমসনির্ভর করা সম্ভব৷
সালমানের ঘোষণা
সোমবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ২০২৪ থেকে ইস্পোর্টস বিশ্বকাপ আয়োজনের ঘোষণা দেন মোহাম্মদ বিন সালমান৷ তিনি জানান, প্রতি বছর বসবে এই বৈশ্বিক আয়োজন৷ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘ সৌদি আরব ইস্পোর্টসের সবচেয়ে বড় হাব হওয়ার লক্ষ্যে যে কাজ শুরু করেছে তারই পরবর্তী পদক্ষেপ এই ইস্পোর্টস বিশ্বকাপ৷’’
সৌদি প্রস্তুতি
গত বছর স্যাভি গেমস গ্রুপ জানায়, সৌদি আরবকে গেমিংয়ের বৈশ্বিক হাব তৈরি করতে ১৪২ বিলিয়ন রিয়াল (৩৭.৮ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ করবে৷ ২৫০টি কোম্পানিও প্রতিষ্ঠা করবে তারা৷ ২৫০ প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৩৯ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে৷ ৩৯ হাজার মানুষের কাজের সুযোগ হলে তার প্রভাব তো দেশের অর্থনীতিতে পড়বেই৷ ধারণা করা হচ্ছে, সব আশানুরূ চললে এক সময় জিডিপিতে ৫০ বিলিয়ন রিয়ালের অবদান রাখবে গেমিং৷
লোভনীয় বিশ্বকাপ
ইস্পোর্টস বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে শুধু সৌদি আরবের উন্নতি চাচ্ছেন না মোহাম্মদ বিন সালমান৷ গেমারদেরও জীবন বদলে দিতে পারে এই প্রতিযোগিতা৷ সোমবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গেমিং ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পুরস্কার দেবে ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে শুরু হতে যাওয়া ইস্পোর্টস বিশ্বকাপ৷