সৌদি আরব সফরে এর্দোয়ান
তুরস্কে সৌদির দূতাবাসে ২০১৮ সালে হত্যা করা হয় সাংবাদিক জামাল খাশগজিকে। তারপর এই প্রথম সৌদিতে পা রাখলেন এর্দোয়ান।
১৪ বছর পর
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান ১৪ বছর পর সৌদি আরব সফরে গেলেন। এর্দোয়ানের অফিস জানিয়েছে, সৌদির রাজা সালমানের আমন্ত্রণেই তার এই সফর। উপরের ছবিটি সৌদিতে পৌঁছাবার পর বিমানবন্দরে এর্দোয়ান।
জামাল খাশগজি হত্যার পর
২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে জামাল খাশগজিকে হত্যা করা হয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের বিরুদ্ধেও। খাশগজিকে হত্যা নিয়ে তুরস্ক ও সৌদি আরবের বয়ান ছিল আলাদা। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। খাশগজি হত্যার পর এই প্রথম সৌদি আরব সফরে গেলেন এর্দোয়ান। উপরের ছবিতে এর্দোয়ান ও যুবরাজ সালমান।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো করতে
সৌদি আরব যাওয়ার আগে এর্দোয়ান বলেছেন, তার এই সফরের উদ্দেশ্য দুই দেশের রাজনৈতিক, সামরিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উন্নতি করা। খাশগজি হত্যার পর দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। এর্দোয়ান বলেছেন, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, খাদ্যসুরক্ষা, প্রতিরক্ষা ও আর্থিক ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা আরো বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে তিনি যাচ্ছেন।
অঘোষিত বয়কট উঠবে?
২০২০ সালে সৌদি আরব তুরস্কের জিনিস আমদানির উপর অঘোষিত বয়কট জারি করেছে। এর ফলে সৌদিতে তুরস্কের জিনিস আমদানি ৯৮ শতাংশ কমে গেছে। এই সফরের ফলে কি সেই বয়কট উঠবে?
তুরস্কের স্বার্থ
তুরস্কের অর্থনীতি রীতিমতো চাপে আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের আগে থেকেই তুরস্কে জিনিসের দাম ভয়ংকরভাবে বেড়েছে। এর্দোয়ানের আর্থিক নীতি সমালোচনার মুখে পড়েছে। ২০২১-এর পর থেকে এর্দোয়ান যে নীতি নিয়ে চলেছেন, তার ফলে মুদ্রাস্ফীতি ৬০ শতাংশ বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পর অর্থনীতির উপর চাপ আরো বেড়েছে। এর্দোয়ানের সফরের ফলে সৌদি আর্থিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বলে আশা করছে তুরস্ক।
তুরস্কের আশা
এর্দোয়ানের সফরের ফলে তুরস্কে সৌদির বিনিয়োগ বাড়বে বলে তুরস্কের আশা। তাছাড়া সিরিয়া, লিবিয়া নিয়ে তুরস্ক আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা কোণঠাসা। এই অবস্থায় সৌদির সমর্থন তাদের কাছে জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।