সিরিয়ায় হামলার পরিকল্পনা স্থগিত
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া এক ভাষণে এ কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ফলে গত ২১শে আগস্ট রাসায়নিক গ্যাস ছুড়ে দামেস্কের বিদ্রোহী অধিকৃত এলাকার ১৪শ মানুষ হত্যার অভিযোগে সিরিয়ার ওপর যে হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, তা আপাতত স্থগিত৷ ভাষণে বারাক ওবামা বলেছেন, ‘‘বর্তমান প্রয়াস সফল হবে কিনা সেটা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনো আসেনি৷ কোনো চুক্তি হলে তারপর আসাদ সরকার অঙ্গীকার অনুযায়ী কাজ করে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে৷ তবে বিশেষ করে রাশিয়ার কারণে যে শক্তি প্রয়োগ ছাড়াই রাসায়নিক অস্ত্রের হুমকি দূরে রাখার উদ্যোগটা সম্ভব হয়েছে, তা ঠিক৷'' কয়েকদিন আগে ওবামা বলেছিলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনির হাতে রাসায়নিক অস্ত্র থাকলে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি৷
সে হুমকি দূরে রেখে যুদ্ধের আশঙ্কাও দূরে ঠেলার সুযোগটা করে দিয়েছিলেন জন কেরি৷ এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র প্রত্যাহার করলে সে দেশের ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসবে৷ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন সঙ্গে সঙ্গেই সেই প্রস্তাব মেনে নেয়ার অনুরোধ জানান আসাদকে৷ সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-মুয়াল্লেম জানিয়েছেন, তাঁর দেশ জাতিসংঘের রাসায়নিক অস্ত্র নিরোধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে রাজি৷ রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেছেন, ‘‘কোথায় কোথায় রাসায়নিক অস্ত্র আছে তা জানাতে আমরা প্রস্তুত৷ রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ রাখা এবং তার মজুদ পরিদর্শনে রাশিয়া, অন্যান্য দেশ এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা এলে আমরা তাঁদের সহায়তা করবো৷''
সিরিয়ার এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া৷ ওবামাও বলেছেন, পরিস্থিতির অগ্রগতির স্বার্থে তিনি ব্যক্তিগতভাবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন৷ পাশাপাশি সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠকের জন্য জন কেরিকে জেনেভায় পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ দু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বৈঠক হবে বৃহস্পতিবার৷ এদিকে কেরি জানিয়েছেন, বৈঠক সামনে রেখে তিনি ইতিমধ্যে লাভরভের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন৷ সব মিলিয়ে, আপাতত উত্তেজনা অনেকটাই প্রশমিত৷
এসিবি/ এসবি (এএফপি, রয়টার্স)