সিরিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ এবং ওবামার ভাষণের প্রতিক্রিয়া
২০ মে ২০১১রাজধানী দামেস্কসহ বানিয়াস, কামিসি এবং হোমস শহরে হাজার হাজার প্রতিবাদকারী সরকার বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেন শুক্রবার৷ কেন্দ্রীয় শহর হোমস এবং দক্ষিণাঞ্চল দারাতে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপরে গুলিবর্ষণ করলে একটি শিশুসহ অন্তত ৫ জন নিহত হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন৷ শিশুটি এবং বাকি তিনজন প্রাণ হারান হোমসে এবং আরেকজন মারা যান দারার কাছের গ্রাম সানামিয়েনেতে৷
এদিকে আরব বিশ্বে জুম্মাবারের এই দিনে সব জায়গা সরগরম ছিল আরব দুনিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাষণ নিয়ে৷ বক্তৃতায় বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইসরায়েলকে ১৯৬৭'র সীমান্তে ফিরে যেতে হবে৷ গড়তে হবে একটি স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র৷
ওবামার ঐ ভাষণকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সাথে সাথেই স্বাগত জানিয়েছেন, এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নও মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষণকে স্বাগত জানিয়েছে৷ ১৯৬৭'র সীমান্ত অনুযায়ী ইসরায়েল এবং প্যালেস্টাইনের সীমান্ত হওয়া উচিৎ, বারাক ওবামার এই বক্তব্যকে ইইউ-এর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন স্বাগত জানিয়েছেন৷
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও মধ্যপ্রাচ্য এবং ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে শান্তি চুক্তি সম্পর্কিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন৷ ওদিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টে দেওয়া ওবামার ভাষণের পরে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকানরা ওবামা'কে তুলোধোনা করছেন এই বলে যে, তিনি ইসরায়েলকে জলাঞ্জলি দিচ্ছেন৷
ওবামার বক্তব্যে ক্ষুন্ন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনার জন্যে শুক্রবার ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন৷ এ বক্তব্যের পর হতাশা প্রকাশ করে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘‘এতে এমনই বোধ হচ্ছে যে, ওয়াশিংটন বাস্তবতা বোঝে না৷ আমরা কি পরিস্থিতিতে আছি তা তারা বোঝে না৷'' ওবামার সঙ্গে বৈঠকের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে রওনা হবার আগে এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘ইসরায়েলের অস্তিত্বের বিনিময়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা বাস্তব রূপ পেতে পারে না৷''
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক