তুরস্ককে দুষছে অ্যামনেস্টি?
২ আগস্ট ২০১৮বিদ্রোহীদের সহায়তায় সিরিয়ার উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি গত মার্চ মাসে দখলে নেয় তুর্কি বাহিনী৷ এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি যোদ্ধাদের সংগঠন কুর্দি পিপলস প্রটেকশন ইউনিট- ওয়াইপিজির দখলে ছিল শহরটি৷ তুরস্ক ওয়াইপিজিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে৷
এরপর পালিয়ে যাওয়া অনেকেই আবার নিজেদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন৷ কিন্তু অ্যামনেস্টি বলছে, ফিরে এসে আবার নির্যাতনের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের৷
অ্যামনেস্টি যা বলছে
আফরিনে আগে বাস করতেন এবং এখন বাস করেন, এমন মিলিয়ে মোট ৩২ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে অ্যামনেস্টি৷ এ বছরের মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে নেয়া হয়েছে এসব সাক্ষাৎকার৷
তাঁরা সবাই বলছেন, আফরিনের অধিবাসীদের ‘আটক করা হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে, চাইলেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও লুট' করা হচ্ছে৷ তাঁরা বলছেন, নির্যাতনকারীরা বিভিন্ন ‘বিদ্রোহী গ্রুপ' যাদেরকে ‘অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ' দিয়েছে তুরস্ক৷
কোনো কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠী তুর্কি বাহিনীর সহায়তায় ‘স্কুল দখলে নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে'৷ অ্যামনেস্টি বলছে, ‘আফরিন বিশ্ববিদ্যালয় লুট করে ধ্বংস করে দেয়ার পর তা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷
ওয়াইপিজির সাথে সম্পর্ক আছে, এমন অভিযোগ তুলে অনেক নিরীহ নাগরিককে জমি বাজেয়াপ্ত করে শাস্তি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ অ্যামনেস্টির৷
তুরস্ক যা বলছে
তুরস্ক অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ ‘প্রোপাগান্ডা', দাবি দেশটির৷ তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান আগের মতোই আবারো বলছেন, সিরিয়ার কোনো অংশ দখল করে থাকার ইচ্ছা তাঁর নেই, বরং সঠিক মালিকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতেই চান তিনি৷
অ্যামনেস্টি বলছে, তদন্তে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্য তুর্কি সরকারের কাছে পাঠিয়েছে সংস্থাটি৷ অ্যামনেস্টির ‘নিরপেক্ষতা' নিয়ে দেশটি প্রশ্ন তুললেও অভিযোগের বিষয়ে ‘যথাযথ কোনো উত্তর' তুরস্ক দেয়নি বলেও জানিয়েছে অ্যামনেস্টি৷
এডিকে/ডিজি (এএফপি,রয়টার্স)