সিরিয়ায় আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চলেছে
৪ জুন ২০১১সিরিয়ায় টানা দমনপীড়ন
মিশর কিংবা তিউনিসিয়াকে ছাড়িয়ে, ইয়েমেনের পাশাপাশি, লিবিয়ার চেয়ে কিছুটা কম হলেও, একটানা মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে এই আরব দেশটিতে৷ অথচ সেদিকে ভালোভাবে নজর দেওয়ার মতো সময়ও যেন আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের, এমনকি গণমাধ্যমের নেই৷ সিরিয়ায় এই নিয়ে দ্বিতীয় আসাদের রাজত্ব৷ সিরিয়ার লেবাননে একটা ভূমিকা রয়েছে৷ হিজবোল্লার সঙ্গে সংযোগ আছে৷ গোলান হাইটস নিয়ে সিরিয়ার ইসরায়েলের সঙ্গে বিরোধ৷ সিরিয়া নিয়ে টান দেওয়াটা অনেকটা মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের অন্তঃস্থলে ঘা দেওয়া৷ সিরিয়া বদলালে মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের ছকটাই পাল্টে যেতে পারে৷ তাছাড়া আরব বিপ্লবের সুনামি যেভাবে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ছড়িয়েছে, একটির পর একটি দেশকে স্থিতিশীল করার সমস্যা দেখা দিচ্ছে, সেখানে সিরিয়া হঠাৎ ফেটে পড়ুক, এটা হয়তো সকলের কাম্য নয়৷
বাবার পথেই বাশার
বাশারের পিতা হাফেজ আল আসাদ ২৯ বছর আগে ঐ হামা শহরেই একটি সশস্ত্র ইসলামি বিদ্রেহ দমন করেছিলেন সেনা পাঠিয়ে৷ সেবার ত্রিশ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল৷ শহরের একাংশ মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল৷ এবারেও বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে জুম্মাবারের মিছিলকারীদের উপর গুলি চালানো হয়েছে৷ বিরোধীরা বলছে ৩৪ জনের নিহত হবার কথা৷ আরো শত শত মানুষ আহত হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ এর মধ্যেই ‘শহীদদের' শেষকৃত্য শুরু হয়েছে৷ এটাই হল সিরিয়ার নতুন ট্র্যাজিক ধারা: যতো বেশি মানুষের প্রাণ যাবে, ত'তো বেশি মানুষ পথে নামবে৷ আরব বিশ্বে কেন, সারা বিশ্বেই হয়তো এটা অভূতপূর্ব৷
‘খুনীদের সঙ্গে কোনো আপোষ নেই'
দক্ষিণের দেরা শহরে এই বিপ্লব শুরু হয়, এগারো সপ্তাহ আগে৷ সেখানেও নাকি গতকাল শত শত মানুষ কারফিউ থাকা সত্ত্বেও পথে নেমেছে, ‘খুনীদের সঙ্গে কোনো আপোষ নেই' ধ্বনি দিয়েছে৷ বিক্ষোভ, আন্দোলন সারা দেশ জুড়ে৷ গতকালের কথাই ধরা যাক৷ হামা, দেরা ছাড়াও মানুষ পথে নেমেছে উত্তর-পশ্চিমের ইদিব প্রদেশে, দামেস্কের বিভিন্ন শহরতলিতে, হোমস শহরে, পশ্চিমের মাদায়া, জাবাদানি ইত্যাদি শহরে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম