সিরিয়ার পরিস্থিতি চরমে উঠছে
১০ জুন ২০১১আজ শুক্রবার, জুম্মাবার৷ সিরিয়ায় আজ আবার বিক্ষোভ, প্রতিবাদ এবং সংঘাতের সম্ভাবনা, বিশেষ করে যখন জিশর আল শুঘুরের কাছে সরকারি সৈন্যরা অবস্থান নিয়েছে৷ বাসিন্দারা তাদের আসন্ন অভিযানের আশঙ্কায় আতঙ্কিত৷ শহরটা নাকি প্রায় খালি হয়ে গেছে৷ কর্তৃপক্ষের ভাষায় ওখানেই এ' সপ্তাহের সূচনায় ‘সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা' নিরাপত্তা বাহিনীর ১২০ জন সদস্যকে হত্যা করে৷ তার সত্যি-মিথ্যে যাই হোক, শহরটির উপকণ্ঠে এখন গোটা চল্লিশেক ট্যাংক এবং সাঁজোয়া গাড়ি জড়ো হয়েছে৷ তার ফলেও আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের উদ্বেগ বাড়ার কথা৷ কিন্তু বাশার আল আসাদকে থামানোর কোনো প্রচেষ্টাই দেখা যাচ্ছে না৷
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দামেস্কের দমননীতির নিন্দা করে একটি প্রস্তাব এনেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং পোর্তুগাল৷ কিন্তু ১৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিষদে রাশিয়া, চীন, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সেই প্রস্তাব বিশেষ পছন্দ করছে না৷ রাশিয়া তো ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছে, তারা এ'ধরনের কোনো প্রস্তাবের বিরোধী৷ যদিও ভোট হলে, এখনও রাশিয়া ভেটো না দিয়ে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবে বলে আশা করছেন পশ্চিমী কূটনীতিকরা৷ রাশিয়া ভেটো দিলে চীনও ভেটো দেবে ধরে নেওয়া যায়৷ ওয়াশিংটন প্রস্তাবটা নিজেরা উত্থাপন না করলেও, তা সমর্থন করছে৷
আগের একটি খসড়া প্রস্তাবের মতো এই প্রস্তাবেও দামেস্ককে অস্ত্র সরবরাহ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে, তবে তার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা, অথবা অপর কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি৷ আর বলা হয়েছে, সিরীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা পরিকল্পিতভাবে মানবাধিকার ভঙ্গ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে৷ সেটাও একটা প্রচ্ছন্ন হুমকি৷
পরিষদের যে সব সদস্য প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে, তাদের মধ্যে ব্রাজিল বলছে, প্রস্তাবের ফলে উত্তেজনা বাড়তে পারে৷ অন্যান্যরা সিরিয়ার ক্ষেত্রেও লিবিয়ার ধরনের কোনো পশ্চিমী সামরিক হস্তক্ষেপ দেখতে চায় না৷ ওদিকে ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলি ভবিষ্যতে পরিষদের স্থায়ী সদস্য হবার আশা রাখে৷ কাজেই তাদের কথার ওজনও কিছু কম নয়৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা