নির্বাচনে সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব
১০ মে ২০১৩২০০৯ সালের নির্বাচনে এই মাধ্যমগুলোর ব্যবহার শুরু হয়েছিল কিছুটা৷ তবে এবার সেটা আরও ব্যাপকভাবে হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা৷
গত বছরের মার্কিন নির্বাচনেও ফেসবুক, টুইটার সহ অন্যান্য মাধ্যম বেশ প্রভাব রেখেছিল৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এসবের গুরুত্ব বুঝতে পেরে মাঠে ময়দানে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি সরব ছিলেন নিজের অ্যাকাউন্টগুলোতেও৷
গুরুত্ব কতটা?
জার্মানির তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ ও নিউ মিডিয়া বিষয়ক কোম্পানিগুলোর কেন্দ্রীয় সংগঠন বিটকম৷ এর প্রধান ডিটার কেম্পফ৷ তাঁর মতে, ‘‘অনলাইন যোগাযোগ রাজনীতির ক্ষেত্রে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে৷ নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে এবারই ইন্টারনেটের প্রভাব থাকবে সবচেয়ে বেশি৷''
তবে কেম্পফের সঙ্গে একমত নন যোগাযোগ বিজ্ঞানী ফেলিক্স ফ্লেমিং৷ তিনি বলেন, ‘‘চার বছর আগের তুলনায় এবার হয়ত বেশি সংখ্যক রাজনীতিবিদ ইন্টারনেটকে কাজে লাগাবে৷ কিন্তু তারা যেহেতু শুধুমাত্র নির্বাচনের সময় এই মাধ্যম ব্যবহার করবে তাই প্রাপ্তিটা হবে সামান্য৷''
৮৯ শতাংশ সাংসদ
সোশ্যাল মিডিয়া বিষয়ক জার্মান প্রতিষ্ঠান ‘প্লুরাগ্রাফ'-এর মতে, জার্মানির প্রায় ৮৯ শতাংশ সাংসদের বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের অন্তত একটাতে হলেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে৷
নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিবিদরা ইন্টারনেটে তাদের উপস্থিতি বাড়িয়ে দিয়েছেন৷ এর মাধ্যমে তারা ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন৷
এগিয়ে ম্যার্কেল
২০০৯ সালের নির্বাচনের সময় ফেসবুকে ম্যার্কেলের অনুসারীর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ২০০৷ আর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পোর্টাল ‘স্টুডিভিজেড'-এ অনুসারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৬৯ হাজার৷ চ্যান্সেলর পদে ম্যার্কেলের প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ারের চেয়ে সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুন৷
বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ম্যার্কেলের অনুসারীর সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ৷ অন্য যে কোনো রাজনীতিবিদের চেয়ে সেটা বেশি৷