1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কটু মন্তব্যের অভিযোগে বিপাকে ট্রাম্প

৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

সংবাদ মাধ্যম, দুই রাজনৈতিক দল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধার অভাবের অভিযোগে জেরবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও অসন্তোষ বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3i5xT
ছবি: picture-alliance/abaca/C. Kleponis

কমান্ডার ইন চিফ, অর্থাৎ সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদাধিকারী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে৷ অথচ ডনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধার বদলে বার বার কটূক্তি করে এসেছেন বলে অভিযোগ উঠছে৷ ২০১৮ সালে ফ্রান্স সফরের সময় ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত মার্কিন সৈন্যদের ‘লুজার্স’ বলে চরম হেয় করেছেন বলে সম্প্রতি ‘অ্যাটলান্টিক’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে৷ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আরো দাবি করছেন যে, এমন অনেক কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প৷

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ যে বিরোধীদের বাড়তি হাতিয়ার হয়ে উঠবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন এমন মনোভাবের তীব্র নিন্দা করেছেন৷ এক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তিনি সেনাবাহিনীর প্রতি নিজের অতীত সমর্থন তুলে ধরেন৷ উল্লেখ্য, তাঁর মৃত পুত্র বো বাইডেন ইরাকে মার্কিন সেনা অভিযানের অংশ ছিলেন৷ ট্রাম্প যে তরুণ বয়সে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের নিয়ম এড়িয়ে গিয়েছিলেন, বিজ্ঞাপনে বাইডেন সেই বিষয়টিরও উল্লেখ করেন৷

সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের কথা শুনলে হৃদয় ভেঙে যায়৷ তাঁর মতে মার্কিন সেনাবাহিনীর এমন ‘কমান্ডার-ইন-চিফ’ থাকা উচিত, যাঁর মনে সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে৷

রিপাবলিকান দলের মধ্যেও বিষয়টি চরম অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে৷ ২০১৬ সালে ট্রাম্প মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য ও তাঁদের পরিবারের প্রতি জোরালো সমর্থনের বুলি সম্বল করে নির্বাচনি প্রচারে নেমেছিলেন৷ সেনাবাহিনীর মধ্যে রিপাবলিকান দলের প্রতি জোরালো সমর্থন ট্রাম্পকে জিততে সহায়তা করেছিল বলে ধরে নেওয়া হয়৷ এবারের নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এমন মারাত্মক অভিযোগ সেই ‘আনুগত্য’-এ আঘাত হানতে পারে বলে দলের মধ্যে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ দলের সদস্য ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এমন অভিযোগ সত্য হলে তা হবে জঘন্য ঘটনা৷ অতীতের ঘটনার ভিত্তিতে তিনি এমন অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্য বলেই মনে করছেন৷

বলা বাহুল্য, ট্রাম্প এমন অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন৷ বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দল ও ‘ফেক নিউজ’ সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘‘সামরিক বাহিনী ও আমার সম্পর্কে ওরা এমন অনেক কুৎসা ছড়াবে৷’’

২০১৮ সালে ট্রাম্পের প্যারিস সফর সম্পর্কে আরো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসছে৷ ব্লুমবার্গের এক রিপোর্ট অনুযায়ী ট্রাম্প সেই সফরে প্যারিসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সরকারি ভবন থেকে শিল্পকর্ম পছন্দ করে হোয়াইট হাউসে নিয়ে যাবার নির্দেশ দিয়েছিলেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)