সাইমনের বেড়াল
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬সাইমন টোফিল্ডের পোষা বিড়ালরা যে সব কাণ্ডকারখানা করে, সাইমন তার ছবি আঁকেন৷ ‘সাইমন’স ক্যাট' সিরিজের কার্টুন ছবিগুলো ইউটিউবে বিরাট ‘হিট'৷ সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ টোমাস রস বলেন, ‘‘বিড়াল আর হাস্যরসের মিশ্রণ ইন্টারনেটে চিরকাল ভালো চলে৷ সাইমন টোফিল্ড সেটা খুব ভালো পারেন৷ তাঁর নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে, বহু ফ্যান আছে৷ সাইমনের ফিল্ম থেকে ফ্যানরা খুব স্পষ্ট ধারণা করতে পারেন, সাইমন তাঁর বিড়ালদের নিয়ে কীভাবে থাকেন আর কী ভাবেন৷''
বাড়িতে নিজের বিড়াল, বাইরে পাড়া-প্রতিবেশীর বিড়ালদের দেখে সাইমন তাঁর কার্টুন ছবি আর ছবির বইগুলোর অনুপ্রেরণা পান৷ তাঁর প্রথম বইটাই অসম্ভব জনপ্রিয় হয়, ২৪টি দেশে তার সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে৷ ডয়চে ভেলের রিপোর্টার হেন্ড্রিক ভেলিং-এর মতে, ‘‘সাইমন’স ক্যাট-এর বিশেষত্ব হলো, সাইমন জিনিসটা সত্যিই খুব ভালো পারেন: মাত্র কয়েকটি রেখা দিয়ে এমন একটি বিড়াল আঁকেন, যার নিজস্ব চরিত্র থাকা সত্ত্বেও সে যে কারো বিড়াল হতে পারে৷ যাতে প্রত্যেক মার্জারপ্রেমী ভাবেন – আরে, ও তো আমার বিড়াল!''
সাইমন শিল্পকলা নিয়ে পড়াশুনো করেছেন৷ পরে লন্ডনে নিজের কোম্পানি গঠন করেন, যার নাম হলো: ‘সাইমন’স ক্যাট লিমিটেড'৷ এখানেই তাঁর নতুন সব কার্টুন ফিল্ম তৈরি হয়৷ সাইমন সরাসরি কম্পিউটারের পর্দায় আঁকেন, একটির পর একটি শট, যা মিলিয়ে শেষমেষ ফিল্মের সিকোয়েন্স তৈরি হবে৷ নিজের স্কেচ থেকে আঁকেন সাইমন৷ ইতিমধ্যে নানা মার্চেন্ডাইজ তৈরি হয়ে গেছে৷ দুনিয়াতে মার্জারপ্রেমীর তো কোনো অভাব নেই৷ ভেলিং মনে করেন, ‘‘এই সব ফ্যান আর্টিকেল শুধু ব্যবসার কথা ভেবে তৈরি করা হয়নি, ভালোবেসে তৈরি করা হয়েছে৷ লোকজন এটাসেটা কিনতে চেয়েছেন, ফ্যানরা আইডিয়া দিয়েছেন, বালিশ কিংবা কি-রিং তৈরি করার৷ লোকে দেখেছে, কত দরদ দিয়ে এই সব ফ্যান আর্টিকেল তৈরি করা হয়েছে৷''
এভাবেই মানুষ আর বেড়ালের মধ্যে সম্পর্ক একটা সফল বিজনেস ভেঞ্চার হয়ে উঠেছে৷ সাইমন টোফিল্ড ফেসবুক ও টুইটারে তাঁর ফ্যানদের খবরাখবর দেন৷ বিশ্বের ৩০টির বেশি দেশে তাঁর বই বেরিয়েছে, বিক্রি হয়েছে ১৭ লাখের বেশি৷ ৫১টি সাদা-কালো কার্টুন ফিল্ম বানিয়েছেন সাইমন, ২০১৬ সালে বেরচ্ছে তাঁর প্রথম রঙিন ছবি৷ সাইমনের বিড়ালরা আজ ‘সেলিব্রিটি'৷
আপনার কি বেড়াল আছে? থাকলে আপনিও কিন্তু এভাবে তার একটা কার্টুন এঁকে ফেলতে পারেন!