1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকার নিয়ে আশাবাদী ম্যার্কেল?

৪ জুন ২০১৯

জার্মানির এসপিডি দল অস্থায়ী নেতৃত্ব স্থির করে আপাতত পরিস্থিতির সামাল দিয়েছে৷ তা সত্ত্বেও জার্মানির জোট সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর হচ্ছে না৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল অবশ্য সংকটের আশঙ্কা দেখছেন না৷

https://p.dw.com/p/3Jmkw
এসপিডি নেতা আন্দ্রেয়া নালেস-এর বিদায়ের পর দুশ্চিন্তায় জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Pedersen

জার্মানির মহাজোট সরকারের অস্তিত্বের ঝুঁকি এখনো কাটেনি৷ জোটের শরিক এসপিডি দল নেতৃত্বের সংকট সামলানোর চেষ্টা শুরু করেছে৷ রবিবার দলের সভাপতি ও সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে আন্দ্রেয়া নালেস পদত্যাগের ঘোষণা করার পর সোমবারই ৪ জন নেতার সমন্বয়ে আপাতত দলের নেতৃত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে৷ এরপর দলীয় সম্মেলন আহ্বান করে নতুন নেতা বাছাইয়ের উদ্যোগ শুরু হবার কথা৷ কিন্তু এসপিডি দলের সাধারণ সদস্যদের একটা বড় অংশ জোট সরকার ত্যাগ করার পক্ষে আরো সোচ্চার হয়ে ওঠায় নতুন নেতার পক্ষেও এমন চাপ উপেক্ষা করা কঠিন হয়ে উঠবে৷ ২০১৩ সাল থেকে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের ছোট শরিক হিসেবে থেকে যাওয়ায় এসপিডি দলের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে দলের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে৷ তাই ২০২১ সালে বর্তমান সরকারের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছেন না অনেকে৷

প্রবল চাপের মুখেও ম্যার্কেল নিজে এখনো অবিচল রয়েছেন৷ এসপিডি দলের বর্তমান সংকট ও নেতৃত্বে রদবদল সত্ত্বেও তিনি সরকারের স্থিতিশীলতা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তার কারণ দেখছেন না৷ সোমবার ম্যার্কেল বলেন, এসপিডি দল কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বটে৷ কিন্তু তার ফলে সরকারের কাজে কোনো বাধার লক্ষণ তিনি দেখছেন না৷ 

জার্মান চ্যান্সেলরের এমন আশার পেছনে একটি কারণ অবশ্যই কাজ করছে৷ একের পর এক নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের কারণে এসপিডি দল এতই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, জোট সরকার ত্যাগ করে আগাম নির্বাচনের ঝুঁকি এই মুহূর্তে সহজ বিকল্প হবে না৷ অন্যদিকে জনসমর্থন তলানিতে ঠেকার ফলে সরকারে থাকার উপযোগিতাও দেখছে না দলের একটা বড় অংশ৷ এমন উভয় সংকটের মুখে দল শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ম্যার্কেলসহ গোটা দেশকে৷

এসপিডি দল জার্মানির জোট সরকার ত্যাগ করলে একাধিক পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে৷ আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা বেশি শোনা গেলেও অন্যান্য কিছু বিকল্প নিয়েও জল্পনাকল্পনা চলছে৷ ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবির একাই সংখ্যালঘু সরকার হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারে৷ যদিও ম্যার্কেল নিজে এমন বিকল্পের ঘোর বিরোধী৷ উদারপন্থি এফডিপি ও সবুজ দলকে নিয়ে নতুন জোট সরকর গড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে৷ গত নির্বাচনের পর এই প্রচেষ্টা অবশ্য বিফল হয়েছিল৷ এখন এফডিপি দল আবার এ বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে৷ তারা অবশ্য ম্যার্কেলের বদলে অন্য কোনো নেতাকে এমন সরকারের চ্যান্সেলরের পদে দেখতে চায়৷ সবুজ দল এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকায় তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না৷ আগাম নির্বাচন হলেই বরং তারা লাভবান হবে বলে মনে করছে৷

জার্মানির ঘরোয়া রাজনীতির এই জটিলতা সরাসরি ইউরোপ ও বিশ্ব রাজনীতির উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে৷ চ্যান্সেলর হিসেবে দেশের মধ্যে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লেও বিশ্বনেতা হিসেবে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ভাবমূর্তি এখনো উজ্জ্বল৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঠিক পরে বিভিন্ন ইইউ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদ পূরণের ক্ষেত্রেও জার্মানির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে ঘিরে দুশ্চিন্তার মাঝে জার্মানিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ইউরোপে একেবারেই কাম্য নয়৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)