1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সম্ভবত বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি চলছে’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশের উত্তরে পঞ্চগড় জেলায় এক হিন্দু ধর্মগুরুকে হত্যা করা হয়েছে৷ ইসলামিক স্টেট এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করলেও সরকারের পক্ষ থেকে তা নাকোচ করে দেয়া হয়৷ এদিকে গবেষকরা বলছেন, ‘আইএস যে জড়িত নয়, তা প্রমাণ করা কঠিন'৷

https://p.dw.com/p/1HzsM
Bangladesch Italiener IS Opfer Erschießung Dhaka
(ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/AP Photo/ A.M. Ahad)

রবিবার সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সন্তগৌরীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে (৫০) গলা কেটে হত্যা করা হয়৷ গৃহত্যাগী এই ধর্মগুরুকে হিন্দু ভক্তরা মহারাজ বলে সম্বোধন করতেন৷ হত্যার পর প্রতিরোধের মুখে পড়ে দুবৃত্তরা গুলি করলে মঠের এক নারীসহ আরো দু'জন গুরুতর আহত হন৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পুলিশ এরমধ্যে তিনজনকে আটক করেছে৷ এদের মধ্যে দু'জন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র সদস্য এবং অন্যজন ইসলামি ছাত্র শিবিরের স্থানীয় নেতা৷

নূর খান

জানা গেছে, হামলাকারীরা হামলার সময় ‘কতল' শব্দটি ব্যবহার করে৷ প্রতিরোধ করতে মঠের একজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পিস্তুল উঁচিয়ে বলে, ‘‘তোর গুরুজিকে কতল করা হয়েছে, ঐ ঘরে যাবি তো তোকেও কতল করব৷''

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোট তিনজন হামলাকারী ছিল এবং তারা এসেছিল মোটর সাইকেলে৷ রংপুরে গত বছর জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যা, বগুড়ায় শিয়া মসজিদে হামলা এবং ঢাকার আশুলিয়ায় তল্লাশি চৌকিতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডেও তিনজন মোটর সাইকেল আরোহী অংশ নেয়৷

এ সব ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, ভিন্ন ধর্মীয় মানুষ এবং স্থাপনায় হামলা ও হত্যার ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটছে৷ দু'জন বিদেশি নাগরিককে হত্যা ছাড়াও ২৩ অক্টোবর পুরনো ঢাকার হোসেনি দালানে শিয়াদের তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলায় দু'জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন৷ ১৮ নভম্বের র্দুবৃত্তরা দিনাজপুরে খ্রিষ্টান ধর্মযাজক ডা. পিয়ারো পারোলারি সামিওকে হত্যার চেষ্টা করে৷ ২৬ নভেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জে শিয়া মুসলমানদের একটি মসজিদে ঢুকে নামাজরতদের উপর গুলি চালানো হলে মুয়াজ্জিন নিহত এবং তিনজন আহত হন৷ ১০ ডিসেম্বর রাতে দিনাজপুরে কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামে ইসকন মন্দিরে ধর্মসভা চলাকালে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণে দু'জন আহত হন৷ ২৫ ডিসেম্বর ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর দিন রাজশাহীর বাগমারায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় একজন নিহত হন৷

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিচালক এবং জঙ্গি বিষয়ক গবেষক নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘হত্যা এবং হামলার ধরনই বলে দেয় যে তারা দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়৷ আমার মনে হয়, এরা বড় ধরনের কোনো হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার আগে এগুলো তাদের ড্রেস রিহার্সল৷''

তিনি বলেন, ‘‘হামলাকারীরা যে জঙ্গি তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ তবে তারা যে আইএস নয়, তা প্রমাণ করা কঠিন৷ বাংলাদেশে আইএস ভাবাদর্শের জঙ্গি আছে৷ তারা ধরাও পড়েছে৷ সরকার অবশ্য রাজনৈতিক বা অন্য কোনো কারণে আইএস-এর বিষয়টি স্বীকার করতে চাইছে না৷''

নূর খানের কথায়, ‘‘কোনো কিছু গোপন করে সমাধান হয় না৷ রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা না করে প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করে সরকারকে এইসব জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য