এর পেছনে সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তার' ভূমিকাও দেখছেন বিশ্লেষকরা৷
বাংলাদেশের শীর্ষ দুইটি দৈনিক প্রথম আলো এবং দ্য ডেইলি স্টার-এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে কিছু লোক বিক্ষোভ করেছে। প্রথম আলোর সামনে তারা গরু জবাই করে জিয়াফত (মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তির জন্য ভোজ) কর্মসূচি পালনেরও চেষ্টা করেছে৷ রবিবার পুলিশ অবশ্য সেই কর্মসূচি ভন্ডুল করে দিয়েছে।
তার আগে শনিবার তারা দ্য ডেইলি স্টারের সামনেও বিক্ষোভ করে। ওই ব্যক্তিদের দাবি, বাংলা দৈনিক প্রথম আলো এবং ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ‘ভারতের দালাল'G এই সব আয়োজন হচ্ছে তৌহিদী জনতাসহ নানা ব্যানারে।
প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ থাকেনি৷ রবিবার কতিপয় ব্যক্তি রাজশাহী ও বগুড়ায় প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা চালায়। এছাড়া বেশ কয়েকটি জেলা শহর ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এসবের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চালানো হয় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারবিরোদী প্রচারণা।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, "যারা এগুলো করছে, তারা অপরিচিত কেউ নয়। তাদের চেহারা দেখা যায়। তাদের ভিডিও ফুটেজও আছে। তাদের অতীত, বর্তমান দেশবাসী জানে। তারপরও সরকার বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
" সরকারের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বা সরকারের সমর্থক যেভাবে উসকানিমূলক কথা বলছেন তাতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে। তাদের যে ব্যাকগ্রাউন্ড আমরা বিভিন্নভাবে দেখছি, আমরা যতই গণতেন্ত্রের কথা বলি, প্রকৃতপক্ষে তারা গণতন্ত্রহীন শক্তি। তারা একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষাকারী বলেই আমার মনে হয়। ”