সন্ত্রাসীরা মানবতার শত্রু
১৩ জানুয়ারি ২০১৬এই ঘটনার পর অবশ্য সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানই নিয়েছে জার্মানি৷ তাছাড়া ইতিমধ্যে তুরস্ক সফররত সকল জার্মান নাগরিককে ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে জার্মান সরকার৷ পাশাপাশি পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত স্থানগুলোও এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে৷
পর্যটকদের কোনো দেশের প্রধান আকর্ষণগুলো এড়িয়ে চলার মতো পরামর্শ দেয়া হচ্ছে মঙ্গলবারের এক ভয়াবহ বোমা হামলার কারণে৷ তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের এক পর্যটন কেন্দ্রে চালানো সেই হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং ১৫ জনের মতো আহত হয়৷ হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন জার্মান পর্যটক৷ জানা গেছে, আহত ১৫ জনের মধ্যেও ছয় জনই জার্মান এবং বাকিদের মধ্যে একজন নরওয়ের, একজন দক্ষিণ কোরিয়ার এবং একজন পেরুর নাগরিক৷ হামলাটি তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট' বা আইএস চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তুরস্ক সরকারও আইএস-কেই দায়ী মনে করছে৷
হামলাটি হয়েছে ইস্তানবুলে পর্যটকদের জন্য অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় এলাকা সুলতানআহমেত স্কয়ারে৷ স্কয়ারটি হাজিয়া সোফিয়া জাদুঘর এবং নীল মসজিদের মাঝখানে অবস্থিত৷ মূলত হাজিয়া সোফিয়া জাদুঘর এবং নীল মসজিদ দেখার জন্যই পর্যটকরা সুলতানআহমেত স্কয়ার এলাকাতে যান৷
এদিকে মঙ্গলবারের হামলায় জড়িত সন্দেহে রাশিয়ার তিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে তুর্কি পুলিশ৷ পুলিশ মনে করছে, গ্রেপ্তারকৃত তিনজন আইএস-এর সঙ্গে জড়িত৷
ইস্তানবুলের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘‘এবারের হামলাটি ইস্তানবুলে হলেও এর আগে কখনো প্যারিস, কখনো কোপেনহেগেন, কখনো টিউনিস বা অন্য অনেক জায়গায়ই এমন হামলা হয়েছে৷ তাই হামলা সিরিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স বা জার্মানি যেখানেই হোক না কেন, সন্ত্রাসীরা মানবতার শত্রু, সকল মুক্ত মানুষের শত্রু৷''
বুধবার জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন৷ মঙ্গলবারের হামলা সম্পর্কে ধারণা নিতে ইস্তানবুলে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এফকান আলা-র সঙ্গে বৈঠকও করবেন তিনি৷
বন্ধুরা, আপনার কী মনে হয়? ইস্তানবুলে এই হামলার পেছনে কার হাত রয়েছে?
এসিবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)