1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেষ হলো ফ্র্যাংকফুর্ট বইমেলা

১০ অক্টোবর ২০১০

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বইমেলা হিসেবে পরিচিত জার্মানির ফ্র্যাংকফুর্ট বইমেলা৷ এবার সেই বইমেলার শান্তি পুরস্কারটি লাভ করলেন ইসরায়েলের প্রখ্যাত লেখক ডেভিড গ্রসম্যান৷

https://p.dw.com/p/PafF
বইমেলার শান্তি পুরস্কার হাতে ডেভিড গ্রসম্যানছবি: picture alliance/dpa

বিগত ২০০৬ সালে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালে নিজ ছেলে উরিকে হারান ৫৬ বছর বয়স্ক এই লেখক৷ কিন্তু এরপরও তার কলম থেমে থাকেনি৷ লিখে গেছেন নিজ দেশের জনগণের কথা, প্রতিবেশী ফিলিস্তিনিদের কাহিনী৷ দুই দেশের মধ্যে প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নিজ ভাষায় আকুতি জানিয়েছেন৷ তার স্বীকৃতি স্বরূপ এবারের ফ্র্যাংকফুর্ট বইমেলায় জার্মান বুক ট্রেড পিস প্রাইজটি তাঁকেই দেওয়া হলো৷ নির্বাচক মন্ডলীরা জানান, একজন ইসরায়েলী হয়েও তিনি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বন্ধন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে৷ তাঁর কাজ আশার বাণী শুনিয়েছে যা নিজ দেশের যুদ্ধকে অস্বীকার করেছে৷ অস্বীকার করেছে নিজেদের মধ্যে চলমান যুদ্ধকে৷

রোববার বইমেলার সমাপ্তিতে ডেভিড গ্রসম্যানের হাতে তুলে দেওয়া হয় ২৫ হাজার ইউরো সমমূল্যের পুরস্কার৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ৷ পুরস্কৃত লেখকের প্রতি সম্মান জানিয়ে জার্মানির নাগরিক অধিকার আন্দোলনের কর্মী ইওয়াখিম গাউক বলেন, তিনি পুরস্কার পেয়েছেন এজন্য যে তিনি চলমান ইসরায়েলী নীতির অংশ হতে চাননি৷

কর্মজীবনে লেখক গ্রসম্যান একজন সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন৷ ইসরায়েলের বর্তমান সরকারের সমালোচক গ্রসম্যান মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান অস্থিরতার ব্যাপারে বলেন, ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের আবেগ অনুভুতি, হাসি-কান্নার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে৷ আবার নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার ক্ষেত্রেও আমাদের অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে৷ দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে গ্রসম্যানের বক্তব্য, আমাদের উচিত ভালো প্রতিবেশী হওয়া, এর বেশি কিছু আমি চাই না৷ আমি দুই জনগণের মধ্যে ভালোবাসার কথা বলছি না, এটা ভুল৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক