শিক্ষার মান বাড়েনি
১০ মার্চ ২০১৪
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি প্রাধমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মূল বেতন হবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ৬ হাজার ৪০০ টাকা (গ্রেড-১১) এবং প্রশিক্ষণবিহীনদের ৫ হাজার ৯০০ টাকা (গ্রেড-১২)৷ বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ৫ হাজার ৫০০ এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকেরা ৫ হাজার ২০০ টাকা পাচ্ছেন৷
সহকারী শিক্ষকদের নতুন বেতন স্কেল করা হয়েছে প্রশিক্ষণবিহীনদের ৪ হাজার ৭০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ৯০০ (গ্রেড -১৫) এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ৪ হাজার ৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার ২০০ টাকা (গ্রেড-১৪)৷
আগের ৩৭ হাজার ৬৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি নতুন সরকারি হওয়া প্রায় ২৩ হাজার বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও এই সুবিধা পাবেন৷
এদিকে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘সিডিং ফার্টাইল গ্রাউন্ড: এডুকেশন দ্যাট ওয়ার্কস ফর বাংলাদেশ' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকে ছাত্র ভর্তির হার বাড়লেও শিক্ষার মান কমছে৷
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ‘সবার জন্য শিক্ষা' কার্যক্রম বাস্তবায়নে সফল হয়েছে৷ বিশেষ করে ২০১০ সালে প্রাথমিকে সামগ্রিক ভর্তির হার ৯৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ২০০০ সালে ৬৩ শতাংশ ছিল৷ পাশাপাশি মাধ্যমিকেও ২০১০ সালে ভর্তির হার ৯২ শতাংশে এসে ঠেকেছে৷ কিন্তু ২০০০ সালে তা ছিল ৫২ শতাংশ৷
তবে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্বব্যাংক৷ শিক্ষার্থীদের ওপর পরিচালিত এক মূল্যায়ন জরিপের তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চম শ্রেণির মাত্র ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর দক্ষতা রয়েছে বাংলা বিষয়ে এবং ৩৩ শতাংশের দক্ষতা রয়েছে গণিতে৷ প্রায় একই চিত্র অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে৷
এ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের প্রধান রাশেদা কে চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ এশিয়ায় সর্বনিম্ন আর তার পাশাপাশি চলছে ব্যয়বহুল বেসরকারি শিক্ষা৷ ফলে শিক্ষার বৈষম্য বেড়েছে, কমেছে শিক্ষার মান৷ তিনি বলেন, শুধু শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে কাজ হবে না, শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারি শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বাড়তে হবে৷ শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ এবং ছাত্রদের শিক্ষা উপকরণের পিছনে ব্যয় বাড়াতে হবে৷