1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্যের জন্য হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশন

মারিনা জোয়ারদার২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯

হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশন একটি বৃত্তি প্রদানকারী সংগঠন৷ দেশী বিদেশী সব ছাত্র-ছাত্রীর আর্থিকভাবে সাহায্য করে থাকে এই সংস্হাটি৷ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে৷

https://p.dw.com/p/GlRx
হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশন এর লোগো

সংস্হাটির মূল উদ্দেশ্য হল সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে যারা পড়াশোনা করতে আগ্রহী তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা৷ অর্থাৎ সামাজিক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রজন্মকে আরো বেশী সচেতন করা৷ সংস্কৃতিক এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয় নিয়ে গবেষণার জন্যও এই সংস্হাটি সাহায্য করে থাকে৷ এই মুহুর্তে হাইনরিশ ব্যোল সংগঠনটি ৬০ টি দেশে ২'শটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রজেক্টে আর্থিকভাবে সাহায্য করছে৷

আর্থিকভাবে সাহায্য

আগেই বলা হয়েছে হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশন দেশী বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিকভাবে সাহায্য করে থাকে৷ যেসব বিদেশী ছাত্র-ছাত্রী বৃত্তির জন্য আবেদন করতে আগ্রহী তাদের অবশ্যই জার্মানীতে যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে৷ বলে রাখা উচিৎ পড়াশোনা চলাকালীন অবস্হাতেও হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশনে বৃত্তির জন্য আবেদন করা যায়৷ তবে মাস্টার্স এবং গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার আগে সবসময়ই ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদন করার জন্য বলা হয়৷

তিন ভাগ

হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশনে আবেদন পত্র পাঠানোর নিয়মটিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে৷ প্রথমে সংক্ষিপ্ত আবেদন পত্র, এরপর বিস্তারিত আবেদন পত্র এখানে একটি ইন্টারভিউ নেয়া হয় প্রার্থীর এবং তৃতীয় পর্যায়ে ওয়ার্কশপ ও গ্রুপ ডিসকাশন৷

সংক্ষিপ্ত আবেদন পত্রে প্রাথমিক বাছাই পর্বের পর মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করা হয়৷ এবং এই সব প্রার্থীর কাছে বিস্তারিত আবেদন পত্র চেয়ে পাঠানো হয়৷ তবে এ পর্যন্ত আসতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই অত্যন্ত মেধাবী হতে হবে অর্থাৎ মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাগুলোতে বেশ ভাল ফলাফল থাকতে হবে এবং সমাজকল্যাণ বিষয়গুলো নিয়ে বেশ সক্রিয় হতে হবে৷ তার মানে হচ্ছে এসব সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকতে হবে৷ এর সাথে আরো যে বিষয়গুলোর দিকে নজর দেয়া হয়, তাহলো বিদেশে বিভিন্ন কোর্স করা আছে কিনা, বিদেশে কখনো থাকা হয়েছে কিনা, বিদেশী ভাষা জানা আছে কিনা এসব বিষয়৷

দ্বিতীয় পর্যায়ের বাছাই পর্বে আছে এক ঘন্টার একটি ইন্টারভিউ৷ হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশনের লিয়াঁজো লেকচারার দায়িত্বে যিনি থাকবেন তিনিই থাকবেন ইন্টারভিউ-এর দায়িত্বেও৷ এখানে প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই করবেন লিয়াঁজো লেকচারার৷ যে সব বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা হবে তা হল প্রার্থীর উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা, আগ্রহ এবং যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা হবে সেই বিষয়ে প্রার্থীর দক্ষতা৷ আরো যে সব বিষয়ে প্রার্থীকে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে তা হল, যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে, পেশাগত জীবনে তা কতটুকু সাহায্য করবে এবং তা থেকে দেশ, দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক অঙ্গন কিভাবে লাভবান হবে৷

এরপর লিয়াঁজো লেকচারার কথা বলবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর বা রেফারীর সাথে৷ বলে রাখা প্রয়োজন লিয়াঁজো লেকচারারের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ তিনিই জানাবেন প্রার্থীকে আর্থিক সাহায্য দেয়া যেতে পারে কিনা৷ এরপর যৌথভাবে প্রফেসর এবং লিয়াঁজো লেকচারার সিদ্ধান্ত নেবেন৷

সবশেষে ওয়ার্কশপ৷ এখানে আছে একটি সংক্ষিপ্ত ইন্টারভিউ, গ্রুপ ডিসকাশন এবং যে বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা হবে তার ওপর একটি সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেশন৷ এই প্রেজেন্টেশনের মধ্য দিয়েই প্রার্থীকে উপস্হাপনা এবং বিষয়ের গুরুত্ব প্রমাণ করতে হবে৷

আবেদন

সংক্ষিপ্ত আবেদন পত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১লা মার্চ এবং ১লা সেপ্টেম্বর৷ এরপর বিস্তারিত আবেদন পত্র জমা দেয়ার পালা৷ এর শেষ তারিখ ১লা মে এবং ১লা নভেম্বর৷ ওয়ার্কশপের জন্য সাধারণত জানুয়ারী এবং জুন মাসকে বেছে নেয়া হয় তবে কোন কোন ক্ষেত্রে তা পরিবর্তনও করা হয়৷ প্রার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে কিনা তা জানানো হয় জুলাই এবং ফ্রেব্রুয়ারী মাসে৷

হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশনে আবেদন করতে হলে অন্যান্য যে সব কাগজ পত্র জমা দিতে হবে তা হলঃ

একটি কভার লেটার সাথে বায়োডাটার একটি কপি৷ কভার লেটারে লিখতে হবে কোন বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা হবে৷ এবং জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরের নাম৷ কবে থেকে প্রোগ্রাম শুরু হচ্ছে তার দিন, তারিখ৷

আরেকটি চিঠিতে লিখতে হবে কেন হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশনে আবেদন করা হয়েছে তার কারণ৷ তার সাথে প্রার্থীর সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি৷

যে বিষয় নিয়ে পড়া হবে তার বিস্তরিত তথ্য এবং প্রয়োজনীয়তা৷

লেটার অফ রেফারেন্স৷ এটি প্রার্থীকে যোগাড় করতে হবে এমন একজনের কাছ থেকে যে প্রার্থীর সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে পরিচিত৷ তিনি প্রফেসর হতে পারেন বা প্রার্থীর কর্মকর্তাও হতে পারেন৷ প্রার্থীর দায়িত্ববোধ এবং যোগ্যতা যাচাইয়ের ব্যাপারগুলোও উল্লেখ করতে হবে লেটার অফ রেফারেন্সে৷


এবার জানাচ্ছি আবেদন পত্র কিভাবে তৈরী করতে হবে৷

সংক্ষিপ্ত আবেদন পত্র ৭ পৃষ্ঠার মধ্যে হতে হবে৷

সংক্ষিপ্ত আবেদন পত্রের তিনটি কপি জমা দিতে হবে এবং কোন ফাইল নয় বরং সাধারণভাবে স্ট্যাপল এবং পাঞ্চ করে দিলেই হবে৷

সংক্ষিপ্ত আবেদন পত্রের টাইপিং ফন্ট হতে হবে ১১৷

কোন রিপোর্ট, সার্টিফিকেটের কপি বা ছবি জমা দেয়ার প্রয়োজন নেই৷ ইমেইল নয় পোস্টে হার্ড কপি পাঠাতে হবে৷ ইমেইলে পাঠালে তা গ্রহণযোগ্য হবে না৷


কোন আবেদন পত্র যদি নির্ধারিত তারিখের পরে সংগঠনে পৌছায় তাহলে সংগঠন দায়ী হবে না এবং সেই আবেদন পত্র বাতিল বলে গণ্য হবে৷ সংক্ষিপ্ত আবেদন পত্রে রেফারী বা টিউটরের নাম অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে৷


হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশন বৃত্তি প্রদানের প্রতিশ্রুতি কোন প্রার্থীকে দেয় না যোগ্যতা অনুযায়ী

প্রার্থীদের বৃত্তি দেয়া হয়৷ এই সংগঠনের ঠিকানা


Heinrich-Böll-Stiftung

Studienwerk

Rosenthaler Str৷ 40/41

10178 Berlin

Germany


উল্লেখ্য, হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশনে আবেদন পত্র বছরে দুবার জমা দেয়া যায়৷ তবে কখনো কখনো এর তারিখে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়৷ বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন সংগঠনের ওয়েবসাইটে৷