হাসনা হেনার মুক্তি দাবি
৭ ডিসেম্বর ২০১৮শুক্রবার দুপুরে তাঁরা বেইলি রোডে স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন৷
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলেও একদল শিক্ষার্থী হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন৷ শনিবারও কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷
‘ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রীবৃন্দ’ ব্যানারে শুক্রবারের অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়৷ সেখানে উপস্থিত একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোজ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘যে শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উনি কোনোভাবে অরিত্রীর ঘটনায় দায়ী নন৷ উনার নাম কোনোভাবেই ঘটনার সঙ্গে আসেনি৷ উনি পরিস্থিতির শিকার বলে আমরা মনে করছি৷’’
রোজের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা অরিত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ‘সুষ্ঠু বিচারও চায়’ বলে জানিয়েছেন তিনি৷ ‘‘কোনো শিক্ষিকা যেন অন্যায়ভাবে হয়রানির শিকার না হন, আমরা সেটাও চাচ্ছি,’’ বলেন রোজ৷
বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা৷ যেমন ‘দোষীদের বিচার করতে গিয়ে নির্দোষের শাস্তি কেন?’, ‘অরিত্রী আমাদের বোন, শিক্ষক হাসনা হেনা আমাদের মা৷ নির্দোষের নিঃশর্ত মুক্তি চাই’ ইত্যাদি৷
এছাড়া তাঁরা ‘আমার মায়ের মুক্তি চাই’, ‘আমার মা নির্দোষ’, ‘আমার মায়ের অপমান, মানবনা, মানবনা’ ইত্যাদি স্লোগানও দেন৷ কর্মসূচি চলে প্রায় দুই ঘণ্টা৷
উল্লেখ্য, ভিকারুননিসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী গত সোমবার আত্মহত্যা করেন৷ বার্ষিক পরীক্ষার সময় তাঁর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়ার পর স্কুলের অধ্যক্ষ তাঁর বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে ‘অপমান করায়’ তিনি আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ৷
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, মোবাইল ফোনে নকলসহ ধরা পড়েছিলেন অরিত্রী৷
আটক হাসনা হেনা অরিত্রীর ক্লাস টিচার৷ অরিত্রীর বাবার দায়ের করা মামলায় যে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে তিনি একজন৷ বাকি দুজন হচ্ছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আখতার৷
জেডএইচ/এসিবি (বিডিনিউজ, বাংলা ট্রিবিউন)