শাস্তি পেতেই হবে বাদাউয়িকে
১০ জুন ২০১৫২০১২ সাল থেকে কারাবন্দি সৌদি আরবের মানবাধিকারকর্মী ও ব্লগার রাইফ বাদাউয়ি৷ সে বছর ব্লগ লিখে দেশের প্রযুক্তি আইন লঙ্ঘন এবং ইসলাম ধর্মের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে৷ ২০১৪ সালের নভেম্বরে আদালত ৩১ বছর বয়সি ব্লগারের বিরুদ্ধে ১০ বছরের কারাভোগ এবং ১ হাজার দোররার শাস্তি ঘোষনা করে৷ তখনও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল৷ উঠেছিল শাস্তি প্রত্যাহারের দাবি৷ কিন্তু শাস্তি প্রত্যাহার না করে শাস্তি কার্যকর শুরু করে সৌদি আদালত৷
এ বছরের জানুয়ারিতে প্রথম ধাপের ৫০ বার দোররা মারা হয় বাদাউয়িকে৷ তাঁর স্ত্রীর আশঙ্কা ছিল, পর্যায়ক্রমে আরো ৯৫০ বার বেত্রাঘাত করা হলে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া মানবাধিকারকর্মীর জীবন সঙ্কটাপন্ন হতে পারে৷ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সব মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কিছু দেশ শাস্তি প্রত্যাহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার করার আহ্বান জানিয়েছিল৷ মঙ্গলবার সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, শাস্তি প্রত্যাহার বা হ্রাস করা সম্ভব নয়, রাইফ বাদাউয়ির বিরুদ্ধে আগের রায় পুরোপুরিই বলবৎ থাকবে৷
ইইউ এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, ‘‘এটা অগ্রহণযোগ্য এবং পুরোপুরি মানবাধিকারের পরিপন্থি৷ '' এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় এই জোট জানিয়েছে, বাদাউয়ির শাস্তি প্রত্যাহারের জন্য সম্ভব সব ধরণের চেষ্টাই তারা করবে৷
যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সও সৌদি আদালতের এই রায়ে ক্ষুব্ধ এবং হতাশ৷ এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘গত জানুয়ারিতেও সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে বাদাউয়ির শাস্তি প্রত্যাহার এবং মামলার পূর্ণ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল৷ যুক্তরাষ্ট্র আবার জোরালোভাবে সেই দাবি জানাবে৷''
মানবাধিকাকর্মী এবং ব্লগার হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে খুব পরিচিত রাইফ বাদাউয়ি৷ ২০১৪ সালে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স-এর ‘প্রেস ফ্রিডম' অ্যাওয়ার্ড জেতেন তিনি৷ এ বছর ডয়চে ভেলে প্রথমবারের মতো ‘বাক স্বাধীনতা পুরস্কার' দিচ্ছে, বাদাউইকেই দেয়া হয়েছে এই স্বীকৃতি৷
এসিবি/ডিজি (এপি, এএফপি)