শহরের মধ্যেই অভিনব বাগান প্রকল্প
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮তাজা পুদিনা পাতা, খাদ্য হিসেবে ফুলের পাপড়ি, ভিজান বা খাঁটি নিরামিষ কেক৷ বার্লিনে হিমেলবেট প্রকল্পের ক্যাফের প্রায় সব উপকরণই নিজস্ব বাগান থেকে আসে৷ জার্মানিতে অসংখ্য শহুরে বাগান প্রকল্পের মধ্যে একটিতে এসব পাওয়া যায়৷ বার্লিনের মতো শহরের মাঝে পরিত্যক্ত জমিতে এমন বাগান ফুলেফেঁপে উঠছে৷ হিমেলবেট প্রকল্পের মাইকে স্টার্ক বলেন, ‘‘এমন পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে শহরে পরিত্যক্ত জমির সদ্ব্যবহারের কাজে আমি অত্যন্ত আগ্রহী৷ আমাদের খাদ্য আসলে কোথা থেকে আসে, আমি তা দেখাতে চাই৷ কী করা সম্ভব, কীভাবে সম্ভব, মানুষকে সেই শিক্ষাও দিতে চাই৷’’
দলবদ্ধভাবে সেই কাজ করতে চান তিনি৷ হিমেলবেটের মতো প্রকল্প মানুষকে পরস্পরের কাছে নিয়ে আসে৷ এটি বার্লিন শহরে সাম্প্রতিকতম আর্বান গার্ডেনগুলির অন্যতম৷
এর মধ্যে ‘প্রিন্সেস গার্ডেন’ গোটা বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছে৷ কয়েকশ' স্বেচ্ছাসেবী ২০০৯ সালে বার্লিনের ক্রয়েৎসব্যার্গ পাড়ায় এক পরিত্যক্ত জমিতে গাছের চারার বাক্স বসিয়েছিলেন৷ আজ এই প্রকল্পকে গোটা বিশ্বে আদর্শ বাগান হিসেবে গণ্য করা হয়৷ পর্যটকদের ভিড় লেগেই রয়েছে৷ গাইড তাঁদের ঘুরিয়ে দেখান৷ সেখানে প্রায় ৫০০ ধরনের শাক-সবজি ও জড়িবুটি পাওয়া যায়৷ তবে বিষয়টি শুধু বাগান পরিচর্যার মধ্যে সীমিত নয়৷ প্রিন্সেস গার্ডেনের রবার্ট শ বলেন, ‘‘এমন এক জায়গায় শহরের মানুষ তাঁদের আইডিয়া পরীক্ষা করার সুযোগ পান৷ সেই জায়গায় শহরের প্রচলিত নিয়ম খাটে না৷ শহর মানেই তো নিয়মের বেড়াজাল৷ অর্থাৎ এখানে মানুষ বিনা সঙ্কোচে অংশ নিতে পারেন, কিছু করে দেখাতে পারেন৷ জমি বিক্রি করে সেই মূল্য পাওয়া যায় না৷ আর্বান গার্ডেনিং যে কোনো শহরের অংশ হওয়া উচিত বলে আমি বিশ্বাস করি৷’’
গার্ডেন ক্যাফেতে প্রতিদিন এই বাগান ও গোটা অঞ্চলে পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত শাক-সবজি ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তৈরি নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়৷
ক্রিস্টিনা ডাইকে/এসবি