লেবাননের সার্বভৌমত্বের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে : আঙ্গেলা ম্যার্কেল
২ এপ্রিল ২০০৭চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন : লেবানন নিজেকে সার্বভৌম, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক এক দেশ হিসেবে গড়ে তুলুক এবং ঐ অঞ্চলে স্বাধীন এক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত হোক, এটাই জার্মানির কাম্য৷ আর এই প্রক্রিয়ায় সিরিয়াকে তার অবদান অবশ্যই রাখতে হবে, মনে করেন ম্যার্কেল৷ এ কথাগুলো তিনি বলেছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ফুয়াদ সিনিয়োরার সঙ্গে যুক্ত সংবাদ সম্মেলনে৷
সিরিয়া কেন তাঁর সমালোচনার লক্ষ্যবিন্দু সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না৷ দীর্ঘকাল সিরিয়া ছিল লেবাননের সুরক্ষাশক্তি৷ সেখানকার এক সময়কার বিবদমান পক্ষগুলোর মাঝে শান্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল তার৷ কিন্তু সিরিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের একজন কড়া সমালোচক প্রাক্তন লেবানিজ় প্রধানমন্ত্রী রাফিক আল হারিরি বোমা হামলায় নিহত হবার পর পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে৷ অভিযোগের আঙুল ওঠে সিরিয়ার দিকে৷ আন্তর্জাতিক - বিশেষ করে পশ্চিমের চাপের মুখে সিরিয়া লেবানন থেকে তার সৈন্য সরিয়ে নেয়৷ এখনও অভিযোগ করা হয়ে থাকে যে, দামেশক সরকার দক্ষিণ লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়াকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে৷ এই প্রেক্ষাপটেই চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বলেছেন যে সিরিয়াকে দেখতে হবে যে তার এলাকা থেকে দক্ষিণ লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়ার হাতে যেন অস্ত্রশস্ত্র পাচার হয়ে না আসতে পারে৷ তাছাড়া তিনি সিরিয়াকে তার ছোট প্রতিবেশী দেশ লেবাননের সঙ্গে সীমান্তকে ঠিকঠাক চিহ্নিত করতেও বলেছেন৷
নিহত লেবানিজ রাজনীতিক রাফিক হারিরির সমাধি পরিদর্শন করেছেন ম্যার্কেল৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন হারিরির পুত্র - পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি গোষ্ঠীর নেতা সাইদ হারিরি৷ কথা হয়েছে তাঁর প্রেসিডেন্ট এমিল লাহুদের সঙ্গেও৷ বিরোধী শিয়া সম্প্রদায়ের মুখপাত্র নাবি বেরির সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন৷ হারিরির হত্যাকান্ডের সঙ্গে সিরিয়ার যোগ ছিল কিনা তা জাতিসংঘের একটি ট্রাইবুনালের তদন্ত করে দেখার কথা৷ ম্যার্কেল বলেন, এই ট্রাইবুনালের কাজ শুরু করাটা লেবাননের স্থিতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ সিরিয়া অবশ্য তার কোন রকম যোগসাজসের কথা সব সময় অস্বীকার করে এসেছে৷ লেবাননে জাতিসংঘ মিশন ইউনিফিলের আওতায় জার্মান নৌসেনারা প্রহরার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ জার্মান ফ্রিগেট
ব্রান্ডেনবুর্গে উঠে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল জার্মান সৈন্যদের সঙ্গে কথা বলেন৷