‘লাভ প্যারেড'এ মৃত্যুলীলা নিয়ে নানা প্রশ্ন
২৬ জুলাই ২০১০প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে ওঠার পর সেদিনের পরিস্থিতির নানা খুঁটিনাটি দিক স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ এমনকি ‘অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ডের' অভিযোগ সামনে রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ অর্থাৎ সেদিনের অনুষ্ঠানের আগেভাগেই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানলে বা পদক্ষেপ নিলে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটতো না – এবিষয়ে আর বিশেষ কোন সন্দেহ নেই৷
যাবতীয় সমালোচনা ও অভিযোগের তীর ডুইসবুর্গ শহর কর্তৃপক্ষ ও ‘লাভ প্যারেড'এর আয়োজকদের দিকেই৷ নিছক গাফিলতি হিসেবে বিষয়টি দেখা হচ্ছে না৷ কারণ উৎসবের জন্য যে জায়গা স্থির করা হয়েছিল, সেখানে কত মানুষ ধরতে পারে, তাদের যাতায়াতের পথ, ভিড়ের চাপ – এমন অনেক খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে আগেভাগেই অনেক সাবধানবাণী শোনা গিয়েছিল৷ সেসব অগ্রাহ্য করে, জেনেশুনে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে শহর কর্তৃপক্ষ ও আয়োজকরা শনিবার পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘লাভ প্যারেড'এর আয়োজন করে৷ যার ফলে একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে ১৯ জন নিহত ও ৫১১ জন আহত হয়৷ তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে৷
তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ আজই জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে৷ তবে অসংখ্য সাক্ষীকে খুঁজে বের করে তাদের জবানবন্দি নিতে হবে৷ ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করতে হবে৷ মূল প্রশ্ন হলো, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো কি না, যার ফলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে? ডুইসবুর্গ শহরের পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে দুটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা পড়েছে৷ যেখানে আড়াই লক্ষের বেশি মানুষের প্রবেশের অনুমতি ছিল না, সেখানে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের সমাগম কীভাবে ঘটতে দেওয়া হলো, এবিষয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ আয়োজকদের ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম আগেভাগেই শিথিল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠছে৷ প্রবল সমালোচনার মুখে ডুইসবুর্গ শহরের মেয়র আডল্ফ সাউয়ারলান্ড পদত্যাগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক