1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সু চির বিরুদ্ধে মামলা শুরু

১৪ নভেম্বর ২০১৯

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের দায়ে আং সান সু চির বিরুদ্ধে আইন প্রক্রিয়া শুরু হলো আর্জেন্টিনায়৷

https://p.dw.com/p/3Symn
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Wong

বুধবার একাধিক রোহিঙ্গা ও অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠন আর্জেন্টিনার ‘সর্বজনীন এক্তিয়ার’এর আওতায় শুরু হলো এই মামলা৷ সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর ওপর অত্যাচার ও অন্যায়৷

সু চির সাথে সাথে এই মামলায় অভিযুক্ত তালিকায় রয়েছেন মিয়ানমারের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতারাও৷

আর্জেন্টিনা ছাড়াও এমন বিশেষ এক্তিয়ারের উল্লেখ রয়েছে আরো কয়েকটি দেশেও৷

মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী টোমাস ওজেয়া সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানান, ‘‘অভিযোগে রয়েছে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত নানা অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উল্লেখ৷ সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ছাড়াও সেখানে রয়েছে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ায় সহায়কদের কথা৷ আমরা এই প্রক্রিয়া আর্জেন্টিনায় করছি কারণ অন্য কোথাও এই মুহূর্তে এমন অভিযোগ দায়ের করা সম্ভব নয়৷’’

ওজেয়া আশাবাদী, এই মামলার ফলে শিগগিরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করবে আর্জেন্টিনা কর্তৃপক্ষ৷

বারমিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকের প্রেসিডেন্ট টুন খিন বলেন, ‘‘দশকেরর পর দশক ধরে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে৷ বিভিন্ন ঘেটোতে একঘরে করে রাখা ছাড়াও তারা আমাদের বাধ্য করেছে দেশ ছাড়তে৷ আমাদের মেরে ফেলতে চেয়েছে৷’’

এছাড়াও, সোমবার হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেছে গাম্বিয়া

‘‘সময় এখন বিচার চাওয়ার’’

২০১৭ সালের সর্বশেষ সামরিক অভিযানের কারনে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন ৭ লাখ চল্লিশ হাজার রোহিঙ্গা, জানাচ্ছে জাতিসংঘ৷ এই পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে রোহিঙ্গা সঙ্কটকে চিহ্নিত করা হয় গণহত্যা হিসাবে৷

আর্জেন্টিনার এই মামলায় সামরিক নেতৃত্বের ভূমিকার পাশাপাশি আলোচিত হচ্ছে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকাও৷ ওজেয়া, যার নেতৃত্বে সংগঠিত হচ্ছে এই আইনী প্রক্রিয়া, ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেছেন৷ তাঁর সহায়তাই আর্জেন্টিনায় এই মামলার মূল শক্তি৷

তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজের চোখে দেখেছি কীভাবে রোহিঙ্গারা রয়েছেন৷ এখন সময় এসেছে বিচার চাওয়ার৷’’

এই মামলার সাথে জড়িত দু'টি মানবাধিকার সংস্থা, আবুয়েলাস দে প্লাজা দে মায়ো এবং ফুন্দাসিওন সের্ভিসিও পাজ ই জুস্টিসিয়া, এর আগেও লাতিন আ্যামেরিকায় একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলায় নেতৃত্বদান করেছে৷ তাদের সাহায্যেই হাজার হাজার মানুষের গুম হওয়ার ঘটনায় প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলার কাজ শুরু হয়ও বিচার প্রক্রিয়া সম্ভব হয়৷

এসএস/কেএম (এএফপি, দ্য ডেইলি স্টার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য