মিয়ানমারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৫ নভেম্বর ২০১৭মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও গণতন্ত্রের প্রতীক অং সান সু চির সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে টিলারসন বলেন, ‘‘রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতার সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা এড়িয়ে যাঁরা তদন্ত করেছেন, তাঁদের দেয়া রিপোর্টে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নির্যাতনের খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন৷'' এ সময় তিনি মিয়ানমার সরকারের প্রতি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘রাখাইনে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটে যাওয়া নির্যাতনের নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন৷ তাই সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারের প্রতি সামরিক বাহিনীর পূর্ণ সহযোগিতায় এ ঘটনার কার্যকর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছি আমি৷''
এর আগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং লাইং, যার অধীনস্ত বাহিনী রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে, তার সাথে বৈঠক করেন টিলারসন৷ মিন অং লাইংয়ের ফেসবুক পেজে এ প্রসঙ্গে লেখা হয়, টিলারসনের সাথে বৈঠকে রাখাইনের প্রকৃত অবস্থা, মুসলিমরা কেন পালিয়েছেন, কীভাবে সামরিক বাহিনী সরকারের সাথে একযোগে সহায়তা দিচ্ছে এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে আলোচনার কতটা অগ্রগতি হয়েছে, তা জানানো হয়েছে৷
যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে অর্থনৈতিক এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষে৷ টিলারসন বলেন, এখনই মিয়ানমারের উপর কোনোরকম নিষেধাজ্ঞা না চাপানোর বিষয়ে তিনি মত দেবেন৷ তবে নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে নিষেধাজ্ঞা জারির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি৷
সংবাদ সম্মেলনে সু চি বলেন, ‘‘দেশে স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন এবং তা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সম্ভব৷ সবাইকে এটা বুঝতে হবে, কাউকে শাস্তি দেয়া না, শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষাই মূল কাজ৷''
এ বছরের আগস্ট থেকে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী সহিংসতার হাত থেকে নিজেদের জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন৷ তারপরও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি৷
এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর করা এক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেটা মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘হোয়াইট ওয়াশ' বলে আখ্যায়িত করেছে৷
আরএন/ডিজি (রয়টার্স, এপি)