রোহিঙ্গা বিতাড়ন তদন্তে আইসিসি
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ-এ অবস্থিত আইসিসির এই বিবৃতি রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে একটুখানি আশার আলো দেখাবে বলে এক বিবৃতিতে বলেছেন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট আদিলুর রহমান খান৷
আইসিসির বিবৃতি নিয়ে মিয়ানমার সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল বার্তা সংস্থা এএফপি৷ কিন্তু কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি৷
গত এপ্রিলে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসুদা রোহিঙ্গা বিতাড়ন নিয়ে তদন্ত করার এখতিয়ার আইসিসির আছে কিনা, তা জানতে একটি শুনানি আয়োজনের আবেদন করেছিলেন৷
এই শুনানিতে অংশ নেয়া বেশিরভাগ আইনজীবী আইসিসির তদন্ত করার এখতিয়ার আছে বলে মত দেন৷
এই রায়ের কারণে আইসিসি এখন রোহিঙ্গা বিতাড়ন নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করতে পারবে৷ এই বিষয়ে বিচার শুরু করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণাদি আছে কিনা, তা দেখার সুযোগ পাবেন কৌঁসুলি ফাতু বেনসুদা৷
‘রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে’
বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে আসার কথা আর্ল রবার্ট মিলারের৷ গত মাসের ২৩ তারিখে মার্কিন সেনেটে তাঁর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই সময় তিনি বলেন, ‘‘আমার নিয়োগ যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে এই বিষয়টাকে (রোহিঙ্গা) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করার অঙ্গীকার করছি৷’’
আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হবে বলে মনে করেন না মিলার৷ সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সন্তানদের লেখাপড়া ও তাদের জীবনযাপনের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান তিনি৷
বার্মিজ অনুবাদ সেবা বন্ধ
মিয়ানমারের মূল ভাষা বার্মিজ৷ এই ভাষায় লেখা পোস্ট ও মন্তব্য ইংরেজিতে অনুবাদ করার সেবা চালু করেছিল ফেসবুক৷ কিন্তু সম্প্রতি রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ফেসবুকের অনুবাদ ত্রুটিপূর্ণ বলে দাবি করা হয়৷ যেমন, বার্মিজ ভাষায় লেখা রোহিঙ্গাবিরোধী এক পোস্টে লেখা হয়েছিল, ‘‘মিয়ানমারে যত ‘কালার’ দেখা যাবে তাদের সবাইকে হত্যা করো৷'' অথচ ফেসবুকের ইংরেজি অনুবাদ ছিল এরকম, ‘‘মিয়ানমারে আমার রংধনু থাকা উচিত নয়৷’’
রয়টার্সের এই প্রতিবেদনের পর গত ২৮ আগস্ট থেকে বার্মিজ অনুবাদ সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে ফেসবুক৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)