রোবট নয়, মানুষের হাতেই খুনের অধিকার
২১ নভেম্বর ২০২০যুদ্ধক্ষেত্রে ‘কিলার রোবট' বা খুনি রোবটের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা বেশ কিছু বছর ধরেই চলে আসছে৷ অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী আলেকজান্ডার শালেনবের্গের মন্তব্যের পর নতুন করে ইউরোপে আলোচিত হচ্ছে বিষয়টি৷
শালেনবের্গ জার্মান পত্রিকা ‘বিল্ড আম জনটাগ'-কে বলেন, ‘‘পৃথিবীর যুদ্ধক্ষেত্রে এই খুনি রোবটের আবির্ভাব ঘটার আগেই আমাদের এ বিষয়ে কিছু নিয়ম তৈরি করতে হবে৷’’ শুধু এই রোবটগুলির ক্ষেত্রেই নয়, এমন নির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন করতে হবে ল্যান্ডমাইন ও গুচ্ছ বোমা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও, বলেন শালেনবের্গ৷
এই নীতি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ভিয়েনায় ২০২১ সালে একটি সম্মেলনের আয়োজন করবে অস্ট্রিয়ান কর্তৃপক্ষ৷ শালেনবের্গ জানান, এই সম্মেলন হবে ‘‘বিশ্বজুড়ে যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে নীতি নির্ধারণের আলোচনার'' সূত্রপাত৷
কূটনৈতিক স্তরে এমন নীতি নিয়ে এর আগে আলোচনা হয়নি বলে জানান শালেনবের্গ৷ ‘‘এই সম্মেলন থেকে বিভিন্ন রাষ্ট্র, বিশেষজ্ঞ ও রেড ক্রসের মতো বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সাথে নিয়ে একটি আন্দোলন গড়ে তোলা হবে,’’ বলেন অস্ট্রিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷
যে কারণে প্রয়োজন এই আন্দোলন
শালেনবের্গের মত, যুদ্ধক্ষেত্রে যেসব ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত যন্ত্রের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়৷ শালেনবের্গ বলেন, ‘‘জীবন-মৃত্যু বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত একজন মানুষেরই হাতে থাকা উচিত৷ সকল নৈতিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্ত মানুষই নেবে, কোনো সংখ্যার ভারে চলা অ্যালগোরিদম তা নেবে না৷''
স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে অবস্থান করে বিশ্বের তিন ‘হেভিওয়েট' সামরিক শক্তি, ইসরায়েল, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ এদের বিপরীতে রয়েছে ‘স্টপ কিলার রোবটস' প্রচারণা, যাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ মোট ৬৬টি রাষ্ট্র৷ এরমধ্যে, ৩০টি সদস্যরাষ্ট্র কিলার রোবটের সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দাবি করেছে৷ (সূত্র: স্টপকিলাররোবটস)
রিচার্ড কনর/এসএস