‘রঙ দে বাসন্তী’ দেখে মিশেলও নেচেছেন: আমির খান
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১বাংলার বসন্ত আর আন্তর্জাতিক ভালোবাসাবাসির দিনে বার্লিন মেতে আছে ভিন্ন মেজাজে৷ চলছে বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসব৷ প্রেম-বিচ্ছেদ-বিরহ-মিলনের ছবিও ঘরোয়া, সামাজিক, রাষ্ট্রিক, বৈশ্বিক৷
হাওয়ায় শীতের তীব্র কামড়৷ তুষারপাত কখনো৷ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন৷ গোমড়া মুখ৷ ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে' বলে কেউ গান গাইবে না এদেশে৷ কিংবা বলবে না ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত' কবিতার পংক্তি৷ কিন্তু ভ্যালেন্টইন দিবসে ভালোবাসায় ঠিকই উদ্বেল, মাতোয়ারা প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল৷ ফুল দেওয়া-নেওয়া৷ খুশির আমেজে মশগুল৷ চারদিকে পরিচ্ছন্ন আবেশ৷ এই সঘন পরিবেশে চলছে ৬১ বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব৷ বিশ্বের পাঁচটি মহাদেশের নির্বাচিত ছবি৷ নানা বিভাগে৷ মূল প্রতিযোগিতায় ভারত,চীন,জাপানের কোনো ছবি নেই৷ এশিয়ার ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মাত্র দুটি৷ প্যনোরামা, ফোরাম বিভাগে ভারতের ছবি আছে অবশ্য৷ বাংলাদেশের ছবি ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস-এ৷ উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় ১৬টি ছবির ভাগ্য নিয়ে জজিয়তি করছেন ছয়জন জুরি৷ ইসাবেলা রোজেলিনি জুরি তথা বিচারকমণ্ডলীর প্রধান৷
অন্যতম জুরি বলিউডের ব্লকবাস্টার অভিনেতা, পরিচালক আমির খান৷ এক একান্ত সাক্ষাৎকারে ডয়েচে ভেলের বাংলা বিভাগকে বলেন, ‘‘পৃথিবীর বহু চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়েছি, বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের গরিমা, নান্দনিকতা ভিন্নমাত্রার৷ আমি আনন্দিত৷ সম্মানিত জজিয়তির গৌরব-লাভে৷'' সাক্ষাৎকারে নানা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একটি বিশেষ ঘটনা শোনান৷ বলেন, ‘‘বারাক ওবামা যখন ভারতে গিয়েছিলেন, তাঁর সম্মানে প্রদত্ত ভোজসভায় সস্ত্রীক গিয়েছিলাম৷ মিশেল ওবামা আমাকে বলেন, রঙ দে বাসন্তী দেখে কেবল মুগ্ধ, মাতোয়ারাই হইনি, ছবির নাচেগানে দুই কন্যাসহ বারাক ও আমিও নেচেছিলাম৷''
প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন