যুদ্ধক্ষেত্রের নাম উত্তর পূর্ব দিল্লি
ভয়াবহ বললে কম বলা হয়। উত্তর পূর্ব দিল্লির হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় এখনও ধোঁয়া। পোড়া গন্ধ। ছাইয়ের স্তূপ। নিহত বেড়ে ৪২।
হিংসার স্তূপ
চার দিন ধরে ধ্বংসলীলা চলেছে উত্তর পূর্ব দিল্লির এই এলাকায়। অনেক বাড়ি র আস্ত নেই। ছাই হয়ে গিয়েছে সব কিছু।
এটাই ঘর
কয়েক দিন আগেও এটাই ছিল এক দম্পতির সুখের সংসার। হিংসার পর তাঁরা পালিয়ে বেঁচেছেন। বাড়ির ভিতরের চিত্র এখন এটাই।
মাঝ রাতে হানা
মধ্য রাতে আক্রমণ হয়েছিল এই বাড়িতে। সব কিছু ভএঙে তছনছ করে দেওয়ার পরে এ ভাবেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখনও উড়ছে ধোঁয়া।
পাথরের রাস্তা
রাস্তা জুড়ে এ ভাবেই পড়ে আছে পাথর। এখনও সময় সময় চলছে পাথর বৃষ্টি। পরিষ্কার করার সাহসও কেউ দেখাচ্ছেন না।
গাড়ির শো রুম
এক বহুজাতিক সংস্থার গাড়ির শো রুম এটি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি গাড়ি।
ধ্বংস স্তূপে সেলফি
ধ্বংস স্তূপে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন কর্তব্যরত পুলিশ।
চায়ের দোকান
এখানে ছিল চায়ের দোকান। আগুনে ছাই হয়ে গিয়েছে সব। চার দিন পরে নিজের দোকানের সামনে আসার সাহস পেয়েছেন এই মহিলা। পাশেই ছিল তাঁর ঘর। তারও আর কোনও অস্তিত্ব নেই।
রাস্তার ধারের দৃশ্য
রাস্তা জুড়ে এ ভাবেই পড়ে আছে পোড়া বাইক, স্কুটার, রিকশ। বাতাসে পোড়া মোবিলের গন্ধ।
বিধ্বস্ত টায়ার কারখানা
পেট্রোল পাম্পের পাশে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল টায়ার কারখানা। আপাতত এলাকার দখল নিয়েছে পুলিশ। ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে।
গাড়ির কঙ্কাল
টায়ার কারখানার পাশে এ ভাবেই পড়ে আছে পোড়া গাড়ি, বেকারির ভ্যান।
এটাই রান্নাঘর
রান্না বসিয়ে ছিলেন এই বাড়ির গৃহকত্রী। তখনই হামলা হয়। সব ছেড়ে পালিয়ে যান সকলে। গোটা রান্না ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এ ভাবেই।
শুনশান বাড়ি
দাঙ্গাবাজরা আসার পরে এই অবস্থাতেই ঘর ছেড়ে পালিয়েছিলেন বাড়ির মালিক। আক্রমণকারীরা ভিতরে ঢুকে শেল ফাটিয়েছিল। তাতেই পুড়ে গিয়েছে সব কিছু।
আশ্রয় শিবির
আশ্রয়হীন মানুষদের এ ভাবেই ছোট ছোট দলে রেখেছেন এলাকার মানুষ। হিন্দু মুসলিম সকলে একসঙ্গেই বাস করছেন সেখানে।
পুলিশের তৎপরতা
হিংসার তিন দিন পর তৎপর হয়েছে পুলিশ। কোনও কোনও এলাকায় এ ভাবেই পাহারা দেওয়া হচ্ছে বাড়ি।
সাফাই পর্ব
হিংসার আঁচ অনেকটাই কমেছে যেখানে, সেখানে শুরু হয়েছে সাফাইয়ের কাজ। সাফাই গাইছেন রাজনীতির নেতারাও। শুক্রবার বিজেপি দাবি করেছে, হিংসায় উস্কানি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। বিরোধীরাও এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। তাঁদের নিশানায় বিজেপির কোনও কোনও নেতার ঘৃণার রাজনীতির।
পুলিশি টহলদারি
রাস্তায় নেমেছে পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী। দিনভর উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় চলছে টহলদারি। তার জেরে হিংসা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।