পরমাণু আলোচনায় রাজি ইরান
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩শনিবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরাসরি আলাপ-আলোচনার প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি করেন৷ রবিবার সালেহির মুখ থেকে অনুরূপ কথাই শোনা গেল৷ কাজেই মার্কিন-ইরান সম্পর্কে অন্তত কিছুটা উন্নতির আভাস দেখছেন অনেকে৷
কিন্তু বাস্তব এই যে, গত জানুয়ারি মাসেও ইরান ঘোষণা করেছে, সে তার ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধিকরণের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে৷ ইসরায়েলের বিদায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক রবিবার মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে আবার বলেন, ‘‘তাঁর দেশ ইরানকে পারমাণবিক শক্তি হয়ে ওঠা থেকে রুখতে বদ্ধপরিকর''৷ এবং ‘‘সেজন্য কোনো পন্থাই গোড়া থেকে বাদ দেওয়া চলবে না''৷ এহুদ বারাক ইরান ও তার মিত্রদের তরফ থেকে সম্ভাব্য ‘পারমাণবিক সন্ত্রাসের' কথা বলেন৷
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি-আকবর সালেহি মিউনিখে তাঁর দেশ ‘আলাপ-আলোচনার জন্য প্রস্তুত' বলে ঘোষণা করলেও, যোগ করেন যে, ‘‘আমরা আমদের স্বাধীনতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিই৷'' অপরদিকে সালেহি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচজন স্থায়ী সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে পরমাণু আলাপ-আলোচনার পরবর্তী বৈঠকটা নিশ্চিত করেন৷ ঐ বৈঠক আগামী ২৫শে ফেব্রুয়ারি কাজাকস্তানে অনুষ্ঠিত হবে৷ সালেহি যে তা নিশ্চিত করলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশটন তা'তেই খুশি৷
সিরিয়া সম্পর্কে এহুদ বারাকের মন্তব্য ছিল, বাশার আল-আসাদের শাসন ভেঙে পড়বে, বলে তিনি বিশ্বাস করেন, যার ফলে ইরান আরব বিশ্বে তার একমাত্র মিত্রকে হারাবে৷ ওদিকে সিরিয়ার বিরোধীপক্ষের নেতা মোয়াজ আল-খাতিব আসাদের দুই মূল সমর্থক রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে মিউনিখে কথাবার্তা বলার দরুণ সহযোগীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷ কিন্তু তাঁর সংগঠন সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়েলিশন বা এসএনসি বলছে, বল এখন রাশিয়া কোর্টে৷ রাশিয়াকে এবার আসাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে৷
দৃশ্যত রুশ সরকার ‘সিরিয়ার সব মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করে', এমন একটি সমাধান বিবেচনা করতে প্রস্তুত৷ এছাড়া রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ নাকি সিরিয়ার বিরোধীপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷
এসি/এআই (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)