ম্যার্কেলের জায়গায় ‘ট্রাম্প লাইট'?
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০তাঁর নাম ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস৷ অভিবাসনবিরোধী বক্তব্যের কারণে জার্মানির জোট সরকারের অংশ এসপিডি দল তাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে একসময় ‘ট্রাম্প লাইট' হিসেবে উল্লেখ করেছিল৷ এমনকি জার্মানির ইসলাম ও অভিবাসনরোধী দল এএফডিও ম্যার্ৎসের বিরুদ্ধে তাদের নীতি চুরি করার অভিযোগ এনেছিল৷
ম্যার্কেলের পর সিডিইউ দলের প্রধান হয়েছিলেন আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার৷ ‘মিনি-ম্যার্কেল' হিসেবে পরিচিত কারেনবাউয়ার ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ম্যার্ৎসকে হারিয়ে দলের প্রধান নির্বাচিত হন৷ ৫১৭-৪৮২ ভোটে তিনি জয়ী হয়েছিলেন৷
তবে দলের প্রধান হিসেবে কারেনবাউয়ার নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি৷ টুরিঙ্গিয়া রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনা সেটি আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ হাই কমান্ডের নির্দেশ অমান্য করে ঐ রাজ্যের সিডিইউ নেতৃবৃন্দ এএফডির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল৷
এরপর কারেনবাউয়ার পদত্যাগ করেন৷
ফলে নতুন কাউকে সিডিইউ প্রধানের দায়িত্ব নিতে হবে৷ ২০১৮ সালে কারেনবাউয়ারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যার্ৎস আবারও নির্বাচন করতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে৷
কে এই ম্যার্ৎস?
ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস একসময় ম্যার্কেলের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন৷ পরে দলের মধ্যে ম্যার্কেলের একজন সমালোচক হয়ে ওঠেন তিনি৷
১৯৮৯ সালে ইউরোপীয় সাংসদ হয়েছিলেন৷ এরপর ১৯৯৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন জার্মানির সাংসদ৷ এর মধ্যে দুই বছর (২০০০-২০০২) সিডিইউ সংসদীয় দলের প্রধান ছিলেন৷
২০০২ সালে সাধারণ নির্বাচনে সিডিইউর হারের পর ম্যার্ৎসের জায়গায় দায়িত্ব নেন ম্যার্কেল৷ এরপর ২০০৯ সালে রাজনীতির মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ম্যার্ৎস৷
২০১৮ সালে সিডিইউ প্রধান নির্বাচনের আগে তিনি আবার রাজনীতিতে ফিরে আসেন৷
মাঝের সময়টায় বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কর্পোরেট আইনজীবী ম্যার্ৎস৷ এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে৷ জার্মানি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা ‘আটলান্টিক ব্রিজ'-এর চেয়ারম্যান ছিলেন ১০ বছর৷
২০১৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরক-এর জার্মান শাখার প্রধান হন ম্যার্ৎস৷ রাজনীতিতে ফেরার লক্ষ্যে চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন৷
ম্যার্ৎস ছাড়াও সিডিইউর প্রধান হিসেবে জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়ার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী আর্মিন লাশেটকে ঘিরে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে৷
রাল্ফ বোসেন/জেডএইচ