1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ম্যার্কেলই আমাদের নেতা’

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

শেষ পর্যন্ত জার্মানিতে মহাজোট সরকার গঠন করা সম্ভব হলেও দুই প্রধান রাজনৈতিক দল জনসমর্থন ফিরে পেতে নানা চিন্তাভাবনা করছে৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ না করার ডাক দিয়েছেন এক সিডিইউ নেতা৷

https://p.dw.com/p/2tRBi
ম্যার্কেল ও আল্টমায়ার
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Schreiber

সোমবার সিডিইউ দলীয় সম্মেলনে একাধিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ কিন্তু সমালোচনা ও তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন পুরোপুরি দূর হয়নি৷

স্বভাবসিদ্ধ সংযমের কারণে ম্যার্কেল এমন অস্বস্তিকর বিষয় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার পাত্র নন৷ তবে দলের মধ্যে তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা ও সম্ভাব্য অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী পেটার আল্টমায়ার এক সাক্ষাৎকারে ম্যার্কেলের সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন৷ নেতৃত্ব নিয়ে আর প্রশ্ন না তুলে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের বিষয়গুলির প্রতি মন দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেল চার বছর দায়িত্ব পালন করবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন৷ তাই সম্ভাব্য মহাজোট সরকারের বড় শরিক দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, বলেন আল্টমায়ার৷

বিশেষ করে বিগত সরকারে অর্থমন্ত্রী হিসেবে ভল্ফগাং শয়েবলে বাজেট ঘাটতি দূর করে যে সফল আর্থিক নীতি শুরু করেছিলেন, সেই পথেই এগিয়ে চলার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি৷ তাঁর মতে, এমনকি এসপিডি দলের অর্থমন্ত্রীকেও সেই কাঠামোর মধ্যে কাজ করতে হবে৷ এসপিডি দলের সদস্যরা মহাজোট সরকারের পক্ষেই রায় দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷

সরকারে যোগদানের প্রশ্নে এসপিডি দলে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, জনসমর্থন হারিয়ে প্রবল সংকটের মধ্যে পড়েছে সেই দল৷ আগামী ৪ঠা মার্চ সদস্যদের ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হবার পর সরকারে যোগ দিলেও এসপিডি দলের সেই সমস্যা দূর হবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷ তাই আবার মানুষের আস্থা ফিরে পেতে তাই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে৷

বিশেষ করে জার্মানির পূর্ব ও দক্ষিণে দল সবচেয়ে বেশি সমর্থন হারিয়েছে৷ বিভিন্ন সমস্যার সময়ে একেবারে তৃণমূল স্তরে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন মাটিয়াস মিয়র্শ নামের এক নেতা৷ দলীয় বাসে করে গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে চান তিনি৷ স্থানীয় পর্যায় দলের শাখা ছাড়াও শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কাজ করতে হবে৷ মোটকথা বিষয়, সংগঠন ও নেতৃত্বের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের সমর্থন ফিরে পাবার চেষ্টা করতে হবে, বলেন মিয়র্শ৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)