ম্যার্কেল ও জার্মানি সম্পর্কে ট্রাম্পের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মন্তব্য
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর মন্তব্যের জন্য আলোচিত, সমালোচিত৷ জার্মান চ্যান্সেলর ও জার্মানি সম্পর্কেও তিনি বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য রেখেছেন৷
‘সম্ভবত সবচেয়ে মহান নেতা’
২০১৫ সালে মার্কিন ম্যাগাজিন টাইমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের প্রশংসা করেছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘জার্মানি নীরবে পেছনে বসে থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে, আর সম্ভবত বর্তমানকালের সবচেয়ে মহান নেতা ম্যার্কেলকে সঙ্গে নিয়ে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷’’
‘খুব খারাপ’
ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘জার্মানরা খারাপ, খুব খারাপ... তারা যে যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষ লক্ষ গাড়ি বিক্রি করে, সেদিকে তাকান৷ ভয়াবহ৷ আমরা এগুলো বন্ধ করবো৷’’ ন্যাটোর বৈঠকে উপস্থিত থাকা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ট্রাম্পের এই মন্তব্য প্রকাশ করেছিল জার্মান ম্যাগাজিন ‘ডেয়ার স্পিগেল’৷
‘কিছু মিল’
বারাক ওবামা প্রশাসন তাঁর ফোনে আড়ি পেতেছিল বলে অভিযোগ ডোনাল্ড ট্রাম্পের৷ যদিও বিষয়টি প্রমাণিত নয়৷ ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ম্যার্কেলের ফোনে আড়ি পেতেছিল বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল৷ এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ম্যার্কেলের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘আড়ি পাতার ক্ষেত্রে, আমার মনে হয়, আপনি জানেন (ওবামা) প্রশাসনের কারণে, সম্ভবত আমাদের মধ্যে অন্তত কিছুটা মিল আছে৷’’
‘অবৈধ’
ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জার্মান দৈনিক ‘বিল্ড’ ও ব্রিটেনের ‘দ্য টাইমস’কে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয়, তিনি (ম্যার্কেল) অনেক বড় ভুল করেছেন এবং সেটা হচ্ছে, যে কোনো জায়গা থেকে আসা অবৈধ (ট্রাম্প এই শব্দটিই উল্লেখ করেছেন) মানুষদের গ্রহণ করা৷’’
‘জার্মানি অনেক ঋণী’
২০১৭ সালে ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প দুটি টুইট করেছিলেন৷ তিনি লিখেছিলেন, ‘‘ভুয়া খবর থেকে আপনারা যা-ই শুনে থাকুন না কেন, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে আমার বৈঠকটি দারুণ হয়েছে৷ তবে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জার্মানির অনেক ঋণ আছে৷ এরা জার্মানিকে যে ব্যয়বহুল নিরাপত্তা দেয়, তার মূল্য অবশ্যই চোকাতে হবে৷’’
‘সমর্থন ফিরিয়ে নিচ্ছে’
গত বছর জার্মানিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর সরকার গঠন হতে অনেক সময় লেগে যায়৷ জোট গঠনের আলোচনায় অভিবাসন একটি বড় ইস্যু ছিল৷ সেই সময় ট্রাম্প এভাবে টুইট করেছিলেন, ‘‘জার্মানির মানুষরা তাঁদের নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন উঠিয়ে নিচ্ছেন, কারণ, অভিবাসন বিষয়টি ইতিমধ্যে দূর্বল হয়ে পড়া জোট আলোচনায় ঝড় তুলছে৷’’ এরপর তিনি ভুল তথ্য দিয়ে টুইট করেন, ‘‘জার্মানিতে অপরাধের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে৷’’