মোদীর রাজ্যে ভেন্টিলেটর কেলেঙ্কারির অভিযোগ
২৬ মে ২০২০এ বার মোদীর রাজ্যে করোনা কেলেঙ্কারির অভিযোগ। করোনা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরে যে ভেন্টিলেটর মেশিনগুলি রাজ্যে আনা হয়েছিল, তা অবৈজ্ঞানিক বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী পক্ষ। যদিও গুজরাটের বিজেপি সরকার এখনও তা মানতে নারাজ।
ভারতের করোনা ছড়াতে শুরু করার পরে গুজরাটের সরকারি হাসপাতালে পাঁচ হাজারটি ধমন-১ ভেন্টিলেটর কেনা হয়। অভিযোগ, এই ভেন্টিলেটরগুলি ডিসিজিআই-এর লাইসেন্স নেই। কারণ মাত্র একজনের উপর পরীক্ষা করেই এই যন্ত্রগুলি বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। বস্তুত, কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ এই যন্ত্রগুলিকে ভেন্টিলেটর বলতেই আপত্তি জানাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, একটি সাধারণ ভেন্টিলেটরে যে কাজ হওয়ার কথা, এই যন্ত্রগুলিতে তা করা সম্ভব নয়। গুজরাটের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কেউ কেউ ঠিক এই একই কথা বলেছেন।
কাজ হবে না জেনেও কেন ওই যন্ত্রগুলি গুজরাট সরকার কিনলো? প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যে এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিও তোলা হয়েছে। অভিযোগ, পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে ওই যন্ত্রগুলি কেনার টাকা দেওয়া হয়েছিল। করোনা-কালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা মোকাবিলার জন্য এই ফান্ড তৈরি করেছিলেন। কেন গুজরাটে লাইসেন্সহীন ভেন্টিলেটর কেনার জন্য পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকা খরচ করা হলো, সে প্রশ্নও বার বার সামনে আসছে।
গোটা দেশের নিরিখে গুজরাটে করোনা পরিস্থিতি ভায়বহ। মোট দেশের ১১ শতাংশ রোগী গুজরাটে। শুধু তাই নয়, শুধু গুজরাটেই গোটা দেশের নিরিখে মোট ২২ শতাংশ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, ত্রুটিপূর্ণ ভেন্টিলেটর ব্যবহার হয়েছে বলেই করোনা রোগীদের অনেকে ঠিক চিকিৎসা পাননি এবং তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে, একদা নরেন্দ্র মোদীর নাম লেখা বহুমূল্যের স্যুট প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গুজরাটের এক ব্যবসায়ী। শোনা যাচ্ছে তাঁর কোম্পানির সিএসআর-এও ওই ভেন্টিলেটর সরবরাহ করা হয়েছে।
অভিযোগ অনেক। কিন্তু এ বিষয়ে এখনও মুখ খুলতে নারাজ বিজেপি শাসিত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। সরকার বা প্রশাসন কোনও তরফ থেকেই সরাসরি এই বিতর্কে মন্তব্য করা হয়নি।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, দ্য হিন্দু)