মেয়েদের যৌনাঙ্গচ্ছেদ বন্ধ করতে পুরুষদের ভূমিকা মুখ্য
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০মেয়েরা যেন সহবাস উপভোগ করতে না পারে বা সতীত্ব রক্ষার নামে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সাধারণত এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসেব অনুযায়ী, ঐ দুই মহাদেশের ২৮টি দেশের প্রায় ১২০ থেকে ১৪০ মিলিয়ন নারী অমানবিক এই ঘটনার শিকার হয়েছেন৷
আফ্রিকার দেশ মালির এক কর্মকর্তা বলছেন, যদি পুরুষরা মেয়েদের উপর চালানো এই অমানবিক প্রক্রিয়াটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে৷ কারণ কোনো নারীকে তিনি কোনোদিন দেখেন নি যে নিজে থেকে বলছে যে তার মেয়ের যৌনাঙ্গচ্ছেদ করতে হবে৷
মৌরিতানিয়ার নৃবিজ্ঞানী আব্দুলায়ে সো বলেছেন, যৌন বিষয় নিয়ে আলোচনা করাকে আফ্রিকাতে ট্যাবু হিসেবে ধরা হয়৷ সেখানে জোর করে মেয়েদের যৌনাঙ্গ কেটে দেয়া হয়৷ তিনি বলছেন, যদি পুরুষরা বুঝতে পারে যে কাজটি স্বাস্থ্যসম্মত নয় বা ঝুঁকিপূর্ণ, তাহলে এটি বন্ধ করা সম্ভব৷ সো বলছেন, পুরুষরা বিয়ের দিন মেয়েদের সতীত্বের ব্যাপারে বেশী নজর দেয়, আর যৌনাঙ্গচ্ছেদই মেয়েদের সতীত্বতার প্রমাণ বলে অনেক দেশে মনে করা হয়৷
ইউনিসেফের মতে, মেয়েদের যৌনাঙ্গচ্ছেদের কারণে তাদের শরীরে তাত্ক্ষনিক ও দীর্ঘমেয়াদী নানান সমস্যা দেখা দেয়৷ জানা গেছে, এর ফলে অনেক মেয়ের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে, কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই অমানবিক কাজটি করানো হয় অনভিজ্ঞ লোক দ্বারা৷ এছাড়া, কোনো ধরণের অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই এ কাজটি করা হয়ে বলে এতে যেমন প্রচুর রক্তপাত হয় তেমন মেয়েরা ব্যাথাও পায়৷
মেয়েদের যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে শনিবার সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক যৌনাঙ্গচ্ছেদ বিরোধী দিবস পালন করা হচ্ছে৷
প্রতিবেদন : জাহিদুল হক
সম্পাদনা : দেবারতি গুহ