1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেয়ে শিশু হওয়ার অপরাধে ভারতে ভ্রূণ হত্যা

২৬ মে ২০১১

জন্মের আগেই সন্তানের লিঙ্গ শনাক্ত করতে পারার কারণে গর্ভপাত করে হত্যা করা হচ্ছে কন্যা সন্তানের ভ্রূণ৷ ফলে ভারতে দিনদিন কমে যাচ্ছে কন্যা সন্তানের সংখ্যা৷

https://p.dw.com/p/11OBb
ছবি: Samir Kumar Dey

কন্যা সন্তান বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যেন কাঙ্খিত নয় ভারতে৷ সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতে বর্তমানে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের মধ্যে ছেলে শিশুদের থেকে মেয়ে শিশুদের সংখ্যা প্রায় ৭১ লাখ কম৷

‘দ্য ল্যানসেট' সাময়িকীতে প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়, ভারতের যেসব পরিবারের প্রথম সন্তানটি মেয়ে, সেইসব দম্পতিদের অনেকেই দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নেন তাদের সন্তানটি ছেলে না মেয়ে? যদি জানতে পারেন মেয়ে তাহলে গর্ভপাত করিয়ে ফেলেন এই আশায় যে, পরবর্তী সন্তানটি হয়ত ছেলে হবে৷

এই সমীক্ষার হিসেব অনুযায়ী, ১৯৮০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ৪০ লাখ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ মেয়ে শিশুর ভ্রুণ হত্যা করা হয়েছে কেবল তারা মেয়ে এই কারণে৷ বলা হয়েছে, যাদের প্রথম সন্তান মেয়ে তাদের মধ্যে গর্ভপাত করে মেয়ে শিশুর ভ্রুণ নষ্ট করার প্রবণতা গত কয়েক দশকে অনেক বেড়ে গেছে, যা ছেলে শিশু এবং মেয়ে শিশুদের স্বাভাবিক অনুপাতকে ব্যাহত করছে৷ ৬ বছর পর্যন্ত বয়সের শিশুদের মধ্যে ১৯৯১ সালে ছেলে শিশুর চেয়ে মেয়ে শিশুর সংখ্যা ৪২ লাখ কম ছিলো, যা ২০০১ সালে এসে দেখা যায় মেয়ে শিশুর সংখ্যা ছেলে শিশুদের চেয়ে ৬০ লাখ কম৷

সমীক্ষাটির গবেষক বলছেন, ছেলে সন্তানদের প্রতি আগ্রহের কারণে মেয়ে শিশুদের ভ্রূণ চিহ্নিত করে করে হত্যা করার ফলে মেয়েদের সংখ্যা কমছে৷ কেবল এ কারণেই ভারতের ২ থেকে ৪ শতাংশ গর্ভবতী নারী গর্ভপাত করিয়ে থাকেন৷

সমীক্ষায় গবেষকদের অন্যতম প্রভাত জয়া ঝা৷ যিনি ইউনির্ভাসিটি অফ টরেন্টো'র সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ এর গবেষক৷ ২০১১ সাল পর্যন্ত গত কয়েক বছরের আদমশুমারির তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষণামূলক সমীক্ষাটি করা হয়৷ এছাড়া গবেষকরা জাতীয় সমীক্ষা থেকে আড়াই লাখ জন্মের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন৷ সেখানে তারা এমন সব পরিবারকে বেছে নেন যেসব পরিবারের প্রথম সন্তান মেয়ে৷ এবং সেইসব পরিবারের দ্বিতীয় শিশুটি ছেলে না মেয়ে তার ওপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় সন্তানের মধ্যে ছেলে ও মেয়ের অনুপাত বের করেন৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক