মেসি থাকলেও ফল একই হতো!
২ মে ২০১৩বুধবার নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে বায়ার্নকে ৫-০ গোলে হারালে সরাসরি এবং ৪-০ গোলে হারালে টাইব্রেকারের বাঁধা পেরিয়ে ফাইনালে যেতে পারত বার্সেলোনা৷ কিন্তু এত বড় জয় পাওয়ার মতো খেলাটা তারা খেলতে পারেনি৷ প্রথমার্ধে কোনো গোল হয়নি৷ দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর চার মিনিটের মধ্যে আরিয়ান রবেন বাঁ পায়ের শটে চমৎকার এক গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে নেয়ায় একেবারেই এলোমেলো হয়ে যায় বার্সা৷ ৭২ মিনিটে বিপজ্জনক এক আক্রমণ থেকে দলকে বাঁচাতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসেন পিকে৷ ঠিক চার মিনিট পর ম্যুলার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন, ৩-০! বাকি সময়ে ৮ গোল করে ফাইনালে ওঠার কথা ভাবতে যাওয়াও জাভি, ইনিয়েস্তাদের জন্য অনেকটা পাগলামোর নামান্তর৷ ৭-০ গোল পার্থক্যে ফাইনালে উঠে যায় চারবারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ৷ আগামী ২৫শে মে ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল৷ সেখানে বায়ার্নের প্রতিপক্ষ একদিন আগেই রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় করা জার্মানির আরেক ক্লাব বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড৷
তার মানে সবচেয়ে ফেবারিট দুই দল, স্পেনের দুই জায়ান্ট বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা এবার ঘরে তুলবে হয় বায়ার্ন মিউনিখ, নয়ত ডর্টমুন্ড৷ ফাইনালের আগে ছিটকে পড়ায় বার্সেলোনা শিবির খুব হতাশ৷ চোট থাকায় এ ম্যাচে খেলতে পারেননি মেসি৷ খেললেও কি খুব একটা হেরফের হতো? জেরার্ড পিকে তা মনে করেন না৷ বুধবারের রাতকে বার্সেলোনার সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে জঘন্য রাত হিসেবে বর্ণনা করে স্পেনের এই সেন্টার বরং দারুণ এক জয়ের জন্য মুক্ত মনে অভিনন্দন জানিয়েছেন বায়ার্নকে, ‘‘মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়৷ ও না খেলায় ম্যাচে কিছুটা প্রভাব তো পড়েছেই৷ তবে ও খেললেও যে পরিস্থিতি খুব বদলে যেত, তা আমার মনে হয় না৷ বায়ার্নকে অভিনন্দন জানাতেই হবে, ওরা সত্যিই দারুণ খেলেছে৷''
এসিবি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)