মেসি আর ইয়ামালের যেসব ছবিতে মেতেছে বিশ্ব
প্রায় ১৭ বছর আগে তাদের সাক্ষাৎ৷ এখন তারা দুজনেই ফুটবলের অতি পরিচিত নাম৷ একজন কিংবদন্তি, অন্যজন ভবিষ্যতের সম্ভাব্য মহাতারকা৷ লিওনেল মেসি এবং লামিন ইয়ামালের কথা হচ্ছে৷ কীভাবে দেখা হয়েছিল তাদের- গ্যালারিতে থাকছে সেই গল্প৷
যখন প্রথম দেখা
২০০৭ সালে বার্সোলোনার ন্যু ক্যাম্পে একটা চ্যারিটি ক্যালেন্ডারের জন্য ছবি তুলতে গিয়েছিলেন বার্তা সংস্থা এপি’র আলোকচিত্রী হুয়ান মনফোর্ত৷ লিওনেল মেসির সাথে একটি শিশুর ছবি তোলার পরিকল্পনা তার৷ তিনি তখনই জানতেন মেসি ফুটবলের জগতে রাজত্ব করবে৷ কিন্তু এই ছোট শিশুটিও যে ভবিষ্যতের তারকা হবে তা তার কল্পনাতেও ছিল না৷
ভাইরাল সেই ছবি
এই ছবিতে যে শিশুকে দেখা যাচ্ছে ও-ই আজকের লামিন ইয়ামাল, যাকে বলা হচ্ছে স্পেনের ‘বিস্ময় বালক’৷ কৈশোরেই লামিন ফুটবল মাঠে যে পারফর্মেন্স দেখাচ্ছে, তাতে এখনই তাকে তুলনা করা হচ্ছে কিংবদন্তিদের সাথে৷
‘দুই কিংবদন্তির যাত্রা শুরু’
লামিন ইয়ামালের বাবা গত সপ্তাহে ইনস্টাগ্রামে এই ছবিগুলো পোস্ট করেন, সঙ্গে লেখেন ‘দ্য বিগিনিং অব টু লেজেন্ডস’, অর্থাৎ ‘দুই কিংবদন্তির যাত্রা শুরু’৷ পোস্ট করার পরই ছবিগুলো নিয়ে পুরো ফুটবল বিশ্বে মাতামাতি শুরু হয়ে যায়৷
ফটোগ্রাফারের বক্তব্য
আলোকচিত্রী হুয়ান মনফোর্ত জানান, ২০০৭ সালে এই ফটোশ্যুট বার্সেলোনার ন্যু ক্যাম্পের লকার রুমে তোলা হয়েছিল৷ তখন ইয়ামাল খুব ছোট৷ ইউনিসেফ এবং স্থানীয় একটি পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে তহবিল সংগ্রহের জন্য ক্যালেন্ডার তৈরিতে করা হয়েছিল শ্যুটটি৷ এই ফটোশ্যুট যখন হয়েছিল তখন ব়্যাফেল ড্র তে ইয়ামালের নাম ওঠে এবং ছবি তোলার জন্য নির্বাচিত হয় সে৷ ২০ বছর বয়সি মেসিকে শিশু সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল বলে জানান আলোকচিত্রী৷
মেসির সাথে মিল
মেসির মতোই বার্সেলোনার অ্যাকাডেমি লা মাসিয়ায় ফুটবলে ‘পায়ে খড়ি’ স্পেনের ইয়ামালের৷ জাতীয় দলের হয়ে খেলার আগে স্পেনের অনূর্ধ্ব ১৫, ১৬, ১৭, ১৯ সব বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলেছেন৷
ভবিষ্যৎ ফুটবলের জাদুকর
স্পেনের মাতারা প্রদেশে এক উদ্বাস্তু পরিবারে জন্ম ইয়ামালের৷ দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা৷ ইয়ামালের বাবা মরক্কোর, মা আফ্রিকার ছোট্ট দেশ ইকোয়াটোরিয়াল গিনির৷ ফুটবলের জাদুকর হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে তার মধ্যে৷ ইউরো ২০২৪-এর সেমিফাইনালে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার রেকর্ড গড়ে তারই ইঙ্গিত দিলেন লামিন ইয়ামাল৷