যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আইসিসির সায়
১৫ নভেম্বর ২০১৯প্রসিকিউশনের আবেদনে বিচারকরা এই অনুমোদন দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার আইসিসির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে৷ যদিও বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷
আইসিসির বিবৃতি বলছে, রোহিঙ্গাদের নির্বাসন, ধর্মের ভিত্তিতে জাতিগত নির্যাতনসহ তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না, তা তদন্তের অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় বিদ্রোহীদের হামলার অভিযোগে রোহিঙ্গাদের উপর অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী৷ তখন বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা চলে আসেন৷ গত দুই বছরে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন৷
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তাদের উপর নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ তুলে ধরেন, যাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ৷
গত বছর সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে মিয়ানমারের বিচার করার এখতিয়ার হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রয়েছে বলে সিদ্ধান্ত আসার পর প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছিল৷
প্রাথমিক তদন্ত শেষে পূর্ণ তদন্ত শুরুর জন্য আইসিসির কৌঁসুলি ফাতু বেনসুদা একটি আবেদন করেছিলেন৷ এখন বিচারকরা তাতে সায় দেওয়ায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার অভিযোগের তদন্তে এটিই হচ্ছে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক আদালতের উদ্যোগ৷
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং রোহিঙ্গা নেতারা আদালতের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ বাংলাদেশ আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, ‘‘আমি আশা করি আমরা ন্যায়বিচার পাব৷ মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আবারও গণহত্যা হবে৷''
ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা শেষ পর্যন্ত আদালতে বিচার পেতে পারেন বলে মনে করছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস প্রোগ্রামের পরম প্রীত সিং৷
এসআই/জেডএইচ (রয়টার্স)