মিয়ানমারে রাসায়নিক অস্ত্র!
২৬ নভেম্বর ২০১৯বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট থমাস ডিন্যানো বলেন, ঐ কর্মসূচির আওতায় মিয়ানমার মাস্টার্ড গ্যাস তৈরি করতো৷ এখনো সেই স্থাপনা ধ্বংস না করা সংক্রান্ত নিশ্চিত তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে বলে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা, ওপিসিডাব্লিউ-কে জানিয়েছেন তিনি৷
ডিন্যানো জানান, মিয়ানমার ২০১৫ সালে ‘কেমিক্যাল উইপনস কনভেশন’ সই করেছিল৷ এর সদস্যরা রাসায়নিক অস্ত্রতৈরি, জমা রাখা ও তা ব্যবহার করতে পারে না৷ ফলে মিয়ানমার এই চুক্তি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেন মার্কিন ঐ কর্মকর্তা৷
তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের সময় যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারকে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে৷
রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের যত অভিযোগ
- ২০১২ সালে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের এক খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ফসফরাস ব্যবহার করেছিল বলে সংসদীয় এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷
- মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ এনে প্রতিবেদন করেছিলেন দেশটির পাঁচ সাংবাদিক৷ সে কারণে ২০১৪ সালে তাঁদের দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়৷
- মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে বাস করা কচিন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে৷ তবে সরকার তা অস্বীকার করেছে৷
- ২০০৫ সালে লন্ডনের মানবাধিকার সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে কারেন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিল৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)
বিজ্ঞাপন