1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে রাসায়নিক অস্ত্র!

২৬ নভেম্বর ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সোমবার জানান, ১৯৮০-র দশকে মিয়ানমারে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির একটি কর্মসূচি ছিল৷ সেই অস্ত্র এখনো থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3TjmS
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ এনে জেলে যান পাঁচ সাংবাদিকছবি: Getty Images/AFP

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট থমাস ডিন্যানো বলেন, ঐ কর্মসূচির আওতায় মিয়ানমার মাস্টার্ড গ্যাস তৈরি করতো৷ এখনো সেই স্থাপনা ধ্বংস না করা সংক্রান্ত নিশ্চিত তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে বলে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা, ওপিসিডাব্লিউ-কে জানিয়েছেন তিনি৷

ডিন্যানো জানান, মিয়ানমার ২০১৫ সালে ‘কেমিক্যাল উইপনস কনভেশন’ সই করেছিল৷  এর সদস্যরা রাসায়নিক অস্ত্রতৈরি, জমা রাখা ও তা ব্যবহার করতে পারে না৷ ফলে মিয়ানমার এই চুক্তি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেন মার্কিন ঐ কর্মকর্তা৷

তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের সময় যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারকে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে৷

রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের যত অভিযোগ

  • ২০১২ সালে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের এক খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ফসফরাস ব্যবহার করেছিল বলে সংসদীয় এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷
  • মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ এনে প্রতিবেদন করেছিলেন দেশটির পাঁচ সাংবাদিক৷ সে কারণে ২০১৪ সালে তাঁদের দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়৷
  • মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে বাস করা কচিন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে৷ তবে সরকার তা অস্বীকার করেছে৷
  • ২০০৫ সালে লন্ডনের মানবাধিকার সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে কারেন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিল৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)