‘মিনস্ক যুদ্ধবরতি চুক্তির পরও আমাদের সংশয় থাকা উচিত'
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫বেলারুসের রাজধানী মিনস্কে ১৫ ঘণ্টার লম্বা বৈঠকে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তার অধিকাংশই এখনো অজানা রয়ে গেছে৷ সেই বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেন, রাশিয়া এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টরা৷
বৈঠকের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন সবার আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন৷ তিনি জানান, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সবাই সম্মত হয়েছে এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হবে৷ ম্যার্কেল এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রসোঁয়া ওলঁদ পরবর্তীতে খবরটি নিশ্চিত করেন৷
প্রথম মিনস্ক সম্মেলনের থেকে বেশি কিছু?
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধ এবং প্রাণহানি বন্ধে সম্মত হওয়া আলোচনার ইতিবাচক ফলাফল৷ তবে এটা নিয়ে সংশয় প্রকাশের কারণও আছে৷ দুই পক্ষের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তার বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি৷ এর আগে গত সেপ্টেম্বরেও মিনস্কে আলোচনা হয়েছিল৷ তখনও যুদ্ধবিরতি এবং ভারি সমরাস্ত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে সম্মত হয়েছিল উভয়পক্ষ৷ কিন্তু সেই যুদ্ধবিরতি আসলে কখনোই বাস্তবায়ন হয়নি৷ ফলে মিনস্কের দ্বিতীয় বৈঠকে প্রথম বৈঠকের চেয়ে বেশি কিছু অর্জিত হয়েছে কিনা বলা যাচ্ছে না৷
বরং দুই বৈঠকের মধ্যকার সময়ে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বিভিন্ন ফ্রন্টে আরো বেশি জায়গার দখল নিশ্চিত করেছে৷ ডেবাল্টসেভের একটি রেল হাব ঘিরে এই মুহূর্তে যুদ্ধ চলছে৷ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ‘হাব'টি ঘিরে রাখলেও ইউক্রেনের সেনারা বোধগম্য কারণেই যুদ্ধ ছাড়া সেটির নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে রাজি হচ্ছে না৷
সর্বশেষ মিনস্ক চুক্তি সম্পর্কে যেহেতু আমরা কম জানি এবং যুদ্ধক্ষেত্রের বর্তমান পরিস্থিতি যদি বিবেচনায় আনি, তাহলে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যত নিয়ে সংশয় প্রকাশের যথেষ্ট কারণ থেকে যায়৷
যুদ্ধবিরতি চুক্তি শুধুমাত্র তখনই সফল করা সম্ভব যখন দুই পক্ষের মধ্যকার অসামরিকীকৃত এলাকা স্বাধীন কোনো বাহিনীর পর্যবেক্ষণে থাকবে৷ যদি তা না হয়, তাহলে যুদ্ধ অব্যাহত থাকার আশঙ্কা থেকেই যায়