জনশক্তি
২৫ ডিসেম্বর ২০১২এদিকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ার নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এখনই কর্মী পাঠানো শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷
দালালদের হয়রানি, প্রতারণা, অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়সহ নানা অভিযোগে প্রায় চার বছর জনশক্তি নেয়া বন্ধ রাখে মালয়েশিয়া৷ সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী কেবলমাত্র সরকারি পর্যায়ে কর্মী নেয়ার আশ্বাস দেন৷ এরপরই গত ২৬ নভেম্বর উভয় দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি সই হয়৷ এরই অংশ হিসেবে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম দফায় সাতটি বিষয়ে যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা প্লান্টেশন বা জমি আবাদ ক্যাটাগরিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পাবেন৷
প্রথম দফায় ৩০ হাজার কর্মী পাঠানোর কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন৷ আর কারো বেতনই নয়শো রিঙ্গিতের কম হবে না বলে জানান তিনি৷
মালয়েশিয়া সরকারের চাহিদাপত্র পাওয়ার পরপরই অনলাইনে নিবন্ধন ও বাছাই প্রক্রিয়ার কথা জানান জনশক্তি রফতানি ব্যুরোর মহাপরিচালক শামসুন্নাহার৷ সব শর্ত পূরণ করে যারা সফলভাবে নিবন্ধিত হবেন তাঁরাই মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন৷ আর এর জন্য দিতে হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও৷ কেউ সফলভাবে নিবন্ধন করলে প্রথম দফায় যেতে না পারলে পরবর্তীতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন৷
এদিকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় নির্বাচন থাকায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া দ্রুত শুরুর তাগিদ দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, সরকার বদলের ফলে চুক্তি নিয়ে সংকট দেখা দিতে পারে৷ অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন রামরু'র চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী মনে করেন, জনশক্তি রফতানি শুরু হয়ে গেলে সরকার বদল হলেও তা আর পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না৷
জমি আবাদ ক্যাটাগরির পর পর্যায়ক্রমে নির্মাণ, কৃষি ও সেবা খাতে কর্মী নেবে মালয়েশীয় সরকার৷