মানবতাবিরোধী অপরাধে তিনজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১নয় আসামির মধ্যে এই মামলায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ৪২টি মামলার ১১৪ জন আসামির মধ্যে এই প্রথম কেউ বেকসুর খালাস পেলেন৷
বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়৷ ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার৷
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা রাজাকার বাহিনী এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে ময়মনসিংহের বিভিন্ন গ্রামে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার মত অপরাধের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে এ মামলা করা হয়৷
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, জাহিদ ইমাম, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন৷ আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান৷
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ৪২টি মামলার ১১১৪ জন আসামির মধ্যে আটজন বিচারাধীন অবস্থায় মারা গেছেন৷ মোট ১০৩ জনের সাজা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬৮ যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে৷
আসামিদের কার কী রায়
কারাগারে থাকা আসামিদের মধ্যে মো. শামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালামকে ১ ও ৪ নম্বর অভিযোগে এবং পলাতক এ এফ এম ফয়জুল্লাহ ও আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে চারটি অভিযোগের সবগুলোতেই আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷
আর কারাগারে থাকা মো. খলিলুর রহমান মীরকে ১ ও ৪ নম্বর অভিযোগে; মো. আব্দুল্লাহকে ১ নম্বর অভিযোগে, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলীকে ১, ২ ও ৪ নম্বর অভিযোগে এবং পলাতক সিরাজুল ইসলাম তোতাকে ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে; আলিম উদ্দিন খানকে ১, ২ ও ৩ নম্বরে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল৷
এ মামলায় অভিযুক্ত আসামি আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)